ঢাকা, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু, ৮ শিক্ষক বহিষ্কার

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:২৬  
আপডেট :
 ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৫৫

অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু, ৮ শিক্ষক বহিষ্কার
নিহত সামিয়া রহমান। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় খেলার সময় ময়লার স্তূপের আগুনে দগ্ধ হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আট শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

ঘটনার আট দিন পর বুধবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান কচুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা।

যেসব শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন তারা হলেন- তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন, জসিম উদ্দিন, সাহিদা আক্তার, সুমি আক্তার, রোকেয়া আক্তার, কাজী শাকিরীন, ফয়েজুন নেছা এবং ফাতেমা আক্তার।

তবে সহকারী শিক্ষিকা হাফসা আক্তার ওই দিন ছুটিতে থাকায় এবং প্রধান শিক্ষক মাসুক হাসান শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে হাত পুড়ে যাওয়া তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়নি।

এর আগে ২১ জানুয়ারি সকালে উপজেলার তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় খেলতে গিয়ে ময়লার স্তূপের আগুনে দগ্ধ হয় সামিয়া রহমান (৫)। পাঁচ দিন পর ২৬ জানুয়ারি ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সামিয়া ওই এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২৯ জানুয়ারি তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পায়। পরে ১০ শিক্ষকের মধ্যে আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, ২১ জানুয়ারি দুপুরে ছুটির পর তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খেলছিল সামিয়া। এ সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ময়লার স্তূপে আগুন লাগায় স্কুলটির কর্মচারী সুমন মজুমদার। এটি দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে খেলার ছলে একটি প্লাস্টিকের বলপেনে আগুন ধরায় আরেক শিশুশিক্ষার্থী। দুষ্টুমির এক পর্যায়ে এ আগুন সামিয়ার পরনের কাপড়ে লাগিয়ে দেয় ওই শিশু। এতে দগ্ধ হয় সামিয়া। তার শরীরের অন্তত ৭০ শতাংশ আগুনে ঝলসে যায়।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি, এটি একটি দুর্ঘটনা। এতে শিক্ষকদের অবহেলা ছিল। এ কারণে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আট শিক্ষককে দায়িত্বে অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের জন্য বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া সুমন মজুমদার নামের এক কর্মচারীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত