ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

খাল খননের নামে চট্টগ্রামে বিপুল অর্থ লুটপাট করা হয়েছে: আদিলুর

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৩  
আপডেট :
 ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০২

খাল খননের নামে চট্টগ্রামে বিপুল অর্থ লুটপাট করা হয়েছে: আদিলুর
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে খাল খননের নামে বিপুল অর্থ অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

আদিলুর বলেন, শহরের ভেতরে যে খাল-নালা, সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিক অবস্থা পুরো খারাপ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেখান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি।

আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল-নালা খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এ বছর চট্টগ্রাম নগরের ২১টি খাল পরিষ্কারের জন্য সরকার ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান তিনি।

সকালে চট্টগ্রাম নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় বারইপাড়া খালের খননকাজ পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। বহদ্দারহাটের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন এই খালটি খনন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। নগরের নাসিরাবাদ, মুরাদপুর, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, বারইপাড়া ও বাকলিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে নতুন এই খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন হয় ২০১৪ সালের ২৪ জুন।

নগরের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থের এ খাল খনন প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অন্তত পাঁচ দফা মেয়াদ বাড়িয়েও এর কাজ শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বর্তমানে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছর জুনে। আরেক দফা মেয়াদ বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত বছরগুলোয় নগরের তিন সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কারণে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয়েছে। তবে আগামী দিনে জলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন প্রমুখ। আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে সার্কিট হাউসে নগরের জলাবদ্ধতার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত