ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

চাঁদা দাবি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়

পটুয়াখালীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে বহিষ্কার

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৯

পটুয়াখালীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে বহিষ্কার
কাউসার আহমেদ ও অলিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদা দাবির অভিযোগে দলের দুমকি উপজেলা শাখার সদস্য জি এম অলিউর রহমানকে এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা শাখার সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. কাউসার আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে মো. কাউসার আহমেদকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল বহিষ্কার করে। অপরদিকে জিএম অলিউর রহমানকে বহিষ্কার করে স্বেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালী জেলা শাখা।

জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি জাকিয়া বেগম টিয়া নামে এক নারী দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। এ ঘটনায় ২৭ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে চাঁদা দাবির বিষয়টি উঠে আসে।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালী জেলা শাখা অলিউর রহমানকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অলিউর রহমানকে দলীয় নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মো. মশিউর রহমান মিলন ও সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েত হোসেন মোহন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

অপর দিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. কাউসার আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন কাউসার আহমেদ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যা স্বেচ্ছাসেবক দলের গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের নাম ভাঙিয়ে তিনি বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।

এছাড়াও, দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কাউসার আহমেদ স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সমাবেশেও তার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল নেতাকর্মীকে মো. কাউসার আহমেদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত