জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ৩১৭৩ জনের যোগদানে বাধা নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৫
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর’ পদে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সরকারের আবেদনে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। এই আদেশের ফলে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে তিন হাজার ১৭৩ জনের যোগ দিতে বাধা নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীরা।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তাদের যোগ দেওয়ার কথা।
রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীদের তথ্যানুযায়ী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) নন-ক্যাডার হিসেবে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর, ইনস্ট্রাক্টর ও ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদের (৯ম ও ১০ম গ্রেড) জন্য ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরের বছর ১৮ মার্চ এই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার পর গত বছর ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা হয়। পিএসসি গত বছরের ২৬ নভেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। মনোনীত প্রার্থীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন ১০ম গ্রেডে নিয়োগে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হয়।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ৩ হাজার ৫৩৪ জনকে যোগদানের জন্য আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্য দিয়ে গত বছর কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন করে। প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে শওকত আকবরসহ নিয়োগবঞ্চিত ১৮ জন চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানির পর গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
গত ২৩ জানুয়ারির জারি করা যোগদানসংক্রান্ত ৪৩টি প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। শিক্ষা সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ (নন-ক্যাডার) বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে সরকার, যা গতকাল বুধবার শুনানিতে ওঠে। শুনানির পর সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, নিয়োগ আদেশপ্রাপ্তদের বিষয়ে আগামী তিন সপ্তাহের পুলিশ প্রতিবেদন দিতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আর আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি