রংপুরে হত্যা মামলায় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৩
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাহামুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন হোসেনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে নগরীর বাবু পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আল আমিন ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সদস্য ও স্টেশন বাবু পাড়ার মৃত দুলাল মিঞার ছেলে। ছাত্র আন্দোলনে হত্যা, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।
গত বছরের ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাহামুদুল হাসান মুন্না তার বাবার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে কাউনিয়া উপজেলার বরুয়াহাট এলাকার বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে রংপুর শহরের মিনি সুপার মার্কেটের পাশে ভাঙ্গা মসজিদের সামনে পৌঁছলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মনে করে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকেন মুন্না। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ২৯ আগস্ট দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে হত্যা মামলা করেন মুন্নার বাবা আবদুল মজিদ।
এ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার ছেলে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিবুজ্জামান আহমেদ, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা। লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মতিয়ার রহমান, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত মুন্না হত্যা এবং আহত বিএনপি নেতা মামুন হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ছাত্র আন্দোলন দমাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আল আমিন।
এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, হত্যা মামলার আসামি এবং অপরাধীরা যেখানেই আছে সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স ফলো করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ