ট্রাইব্যুনালের মামলা জটিল, তাড়াহুড়া করা যাবে না: টবি ক্যাডম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৫১
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার কার্যক্রম চালাতে তাড়াহুড়া করা যাবে না উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ সহকারী টবি ক্যাডম্যান বলেছেন, এই মামলাগুলো জটিল।
সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের একথা বলেন টবি ক্যাডম্যান। এ সময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার বিষয় নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আলাপ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় পরিবর্তন আনা সম্ভব। যা বিচারপ্রক্রিয়াকে ন্যায্য ও মসৃণ করবে। এতে দেশীয় আইন ও আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকবে।
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন উল্লেখ করে টবি ক্যাডম্যান সাংবাদিকদের বলেন, প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত তথ্য–প্রমাণ দেখছেন। ট্রাইব্যুনালের বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার বিষয় নিয়ে কয়েক দিন ধরেই তাঁরা আলাপ করছেন। বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গেও আলাপ করবেন। তাঁর আশা, বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় পরিবর্তন আনা সম্ভব। যা বিচারপ্রক্রিয়াকে ন্যায্য ও মসৃণ করবে। এতে দেশীয় আইন ও আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকবে।
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারত নীরব আছে। এখন প্রসিকিউশন ও সরকার কী করতে পারে? এর জবাবে টবি ক্যাডম্যান বলেন, তিনি এবং চিফ প্রসিকিউটর বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে। এ বিষয়ে ভারত যাতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেয়, সে জন্য দেশটির ওপর অবশ্যই চাপ দিতে পারে না বাংলাদেশ সরকার।
তবে টবি ক্যাডম্যান মনে করেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে—এ বিষয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো কারণ রয়েছে। বিচার ন্যায্য হবে। আত্মরক্ষার জন্য তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) সব ধরনের সুযোগ দেওয়া হবে। এটা ভারতের বিষয় যে তারা দায়ুমুক্তির পক্ষে দাঁড়াবে, নাকি আইনের শাসনের পক্ষে। তাঁর আশা, ভারত আইনের শাসনের পক্ষে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি