ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৭  
আপডেট :
 ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৪

মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই। মহার্ঘ ভাতা যদি দিই, সেটা আলাদা হিসাব করব। বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে লোয়েস্ট ট্যাক্স পেয়িং কান্ট্রি। এলডিসির চেয়েও আমাদের ট্যাক্স কম। ভুটান, নেপাল, আইভরিকোস্ট, বুরকিনা ফাসোর চেয়েও কম। এত কম ট্যাক্স দিয়ে কীভাবে চান যে আপনাকে সবকিছু দেব? এটা এক্সপেক্ট করা ঠিক না।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা চশমার ভ্যাট বাড়িয়েছি। ১২৫ টাকায় পৃথিবীর কোন দেশে চশমা পাওয়া যায়? ওখানে ১৫ টাকা বাড়বে। খাবেন ৬০০-৭০০ টাকা, ২০ টাকা ভ্যাট দেবেন না? ভাতের হোটেলে তো ভ্যাট জিরো করে দিয়েছি। গ্লোরিয়া জিন্স থেকে এক কাপ কফি খাবেন, ওখানে ১৫ টাকা আপনার বাঁধে। এ রকম এটিটিউড থাকলে তো ডিফিকাল্ট। দরকার হলে ২০ টাকা বেশি দিয়ে মিষ্টি খাব। আমাদের রেভিনিউ এত কম যে, পুরো পিকচারটা আপনাদের কাছে এখনও আসেনি, আসার কথাও না।

তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে গেলাম। আমরা যখন আসি ১৩৫ মিলিয়ন ডলার এলএনজি আমদানির বিল পাওনা ছিল। আমরা সেটা পরিশোধ করেছি। এখন আবার এক মিলিয়ন ডলার পাওনা হয়েছে। রাশিয়ান অ্যাম্বাসেডর বলছেন- তোমরা টাকা দিচ্ছ না, গম আমদানির বিল।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই সময় (আওয়ামী লীগ সরকারের আমল) এমন ছিল, এখন খারাপ হচ্ছে বলে আপনারা বলছেন। ওই সময় যে খুব ভালো ছিল তা কিন্তু না। আমার যারা সমালোচনা করি বেশির ভাগই ছাত্র। তারা বলে—রাজস্ব বাড়াতে, কোন জায়গায় আমরা বাড়াব? খালি বলে দিলেই তো হবে না। আমরা ক্ষেত্রগুলো খুঁজছি। যেই জায়গায় রেশনাল হয়, আমরা চেষ্টা করব।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ব্যয়ের দিকটা আমরা সাশ্রয়ী হব। অনেক অপ্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় আছে। ৫ বছরের প্রকল্প ১০ বছর নিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় প্রকল্প আছে যেখানে খরচ হওয়ার কথা ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা, খরচ হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। টাকা কোত্থেকে আসবে, এগুলো তো আমাদের শোধ করতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত