চীন গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৪
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার বিকেলে তিন দিনের সফরে তার ঢাকা ছাড়ার কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী ২৪ জানুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর আমন্ত্রণে এ সফরে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেছিলেন, এ সফরকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন, যাতে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নকল্পে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান।
গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সফর বিষয়ে বলেন, সফরে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে। চীন থেকে নেয়া বিভিন্ন দিনের সুদ কমানো ও মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়েও কথা হবে। কোটা সুবিধা বজায় রাখার বিষয়ে আলাপ রাখবো। বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করবো।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের পাঁচ বিলিয়ন ডলারের যে চুক্তি হয়েছিল তা বহাল রাখার বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, কমিটমেন্ট ফি বাদ দিতে কথা বলবো। চীন থেকে নেয়া বিভিন্ন ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর পর্যন্ত করা নিয়ে আলোচনা করবো। আন্তঃনদী বিষয়ক চীনের সঙ্গে যে চুক্তি ছিল তা শেষ, কাজেই চুক্তি নবায়ন করা হবে।
চীন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সরকার কেন্দ্রিক নয় উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, কাজেই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এগিয়ে নেয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন থাকবে এমন পরিকল্পনা নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা নিয়ে কাজ করতে চীনের আগ্রহের বিষয়েও আলোচনা হবে। দেশটির সঙ্গে ভৌগলিক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে। তবে মিয়ানমারের ভেতরকার অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সহজ হবে না। এ বিষয়েও কথা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি