ডিবি প্রধান
পিচ্চি হেলাল-ইমনসহ সকল সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৫ আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:১০
পিচ্চি হেলাল-ইমনসহ সকল সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি একথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুরোনো রূপে ফিরছে। জোড়া খুনসহ কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। এ প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি। কোনো সন্ত্রাসী আইনের আওতা থেকে রক্ষা পাবে না। সে পিচ্চি হেলাল হোক, ইমন হোক। তাদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ডিবি প্রধান বলেন, চাঁদাবাজকে চাঁদাবাজ হিসেবে দেখি, সন্ত্রাসীকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখি। কোন আসামিকেই গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে আমরা এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনা।
তিনি বলেন, “বিগত সময়ে পতিত স্বৈরাচারের নির্দেশনা ও অপেশাদার কিছু পুলিশ কর্মকর্তার কারণে জনগণকে পুলিশের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। বর্তমানে আমরা সেখান থেকে উঠে এসে পেশাদার ও জবাবদিহিমূলক পুলিশি ব্যবস্থা চর্চার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তার কথায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাহিনীর সদস্যরা যখন ‘ঘুরে দাঁড়িয়েছে’, তখন মজুদ, মামলা বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ‘বিপদে ফেলার চেষ্টা চলছে’।
তিনি বলেন, “ভরা মৌসুমে কোনো কারণ ছাড়াই চালের দাম বাড়ানো তারই একটি প্রকৃত উদাহরণ। বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকরীরাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।"
সতর্ক করে মল্লিক বলেন, “অবৈধ মজুদদার, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান এ দেশে হবে না।
“যতোই চক্রান্ত করুক না কেন, পুলিশ তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে। সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশব্যপী গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকাণ্ড জোরদার করা হয়েছে।“
সম্মেলনে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২৭ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন ডিবি প্রধান।
অভিযানে সোমবার রাতে খিলগাঁও, কাছের একটি গোপন আস্তানাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অপরাধী গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ৭.৬২ বোরের একটি চায়না রাইফেল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ৬ রাউন্ড গুলি, ৭.৬২ চায়না রাইফেলের ৯ রাউন্ড গুলি, ছয়টি রামদা, ২৪টি মোবাইল ও ১০০ কেজির ওপর গাঁজা জব্দ করা হয়।
মল্লিক জানিয়েছেন, চোরাচালানের খবর পাওয়া গেলেই পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
“গ্রেপ্তারদের মধ্যে পেশাদার কুখ্যাত চাঁদাবাজ, প্রতারক ও ডাকাতও আছে। আমরা মনে করি এটা আমাদের একটা সফল অভিযান”, বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
৫ আগস্টের পর ছাড়া পাওয়া কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, যারা শীর্ষ সন্ত্রাসী আছে, তাদের পাশাপাশি অন্যান্য সন্ত্রাসী যারা আছে, সমস্ত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। সব বিষয়েই আমাদের মনিটরিং রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি