ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছ-মুরগি-চালের বাজার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:২৩  
আপডেট :
 ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:২৭

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছ-মুরগি-চালের বাজার
সংগৃহীত ছবি

নতুন বছরের শুরু থেকে বাজারে কমেছে সবজির দাম। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবরাহও বেড়েছে। নতুন টাটকা সবজিতে ভরে গেছে বাজার, ফলে কমেছে দামও। তবে অস্বস্তি বিরাজ করছে চাল, মুরগি ও মাছের বাজারে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দুই একটি সবজির এখন মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে ঢেঁড়স, পটল, বরবটি। এগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, একইভায়াবে প্রতি পিস বাধা কপিও বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকায় ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বিচি যুক্ত শিম ৬০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, নতুন লাল আলু ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্বস্তি ফিরেছে আলুর দামেও। গত সপ্তাহে যে আলু ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের বাজারেও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ৫০-৫৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান নতুন পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, রসুন এবং আদা এখনো কিনতে হচ্ছে চড়া দাম দিয়েই।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে এসে বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, বর্তমান বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবজির দাম কম যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছিল, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম। আমরা চাই সবজির এমন দামের মতো বাজারে অন্যান্য পণ্য সাধারণ ক্রেতাদের এমন ক্ষমতার মধ্যে আসুক। তবে কয়েক বছর আগে শীতের সময় অর্থাৎ সবজির ফুল মৌসুমে সব ধরনের সবজির দাম আরো অনেক কম থাকতো, সে হিসেব করলে সবজির দাম আর আগের মত নেই। তবে কিছুদিন আগে সবজির চড়া দামের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার কম যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, বাজারে একেবারে কমে গেছে সবজির দাম, ক্রেতারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দু একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। বাকি সব সবজির দাম অনেক কমে গেছে বাজারে। এছাড়াও বাজারে টাটকা সবজির সরবরাহও অনেক বেশি, যে কারণে দাম কম যাচ্ছে। পুরো শীতকালীন সময়ে সবজির দাম এমন কম যাবে। সামনে আরো কমতে পারে সবজির দাম।

এদিন দেশি রসুন কেজি প্রতি ২৫০ টাকা ও ইন্ডিয়ান রসুন কেজি প্রতি ২২০ টাকা এবং চীনা আদা কেজি প্রতি ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০-৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে মুরগির বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এখন। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৪০ টাকা দরে।

মাছের বাজারেও নেই কোনও সুসংবাদ। আকারভেদে প্রতিকেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, ছোট রুই ২৫০-৩০০ টাকা, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা ও পাঙাশ আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।

ভরা মৌসুমে ভেলকি দেখাচ্ছে চালের বাজারও। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর- ২৮ চাল ৬০- ৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫- ৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা। তাদের প্রশ্ন, ৭০ টাকার নিচে ভালো কোনো চাল নেই। ভরা মৌসুমে চালের এতো দাম হলে, সামনের রোজায় কী হবে? অভিযোগ করে অনেকে বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকার কারণেই যাচ্ছেতাইভাবে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত