বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার দাবি
নরসিংদীতে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে অবরুদ্ধ করল শিক্ষার্থীরা
শুভ্রজিৎ সাহা পিয়াল, নরসিংদী
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫০
তাঁত বোর্ডের অধীনে নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার দাবিতে নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ইউএনও, অধ্যক্ষসহ ১৫/১৬ জন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে তাদের অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে বিকেল ৫টায় নরসিংদী তাঁত বোর্ডে ছুটে যান নরসিংদী জেলা প্রশাসক মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী।
অবরুদ্ধরা হলেন, তাত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকী, (এনডিসি), বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন) (অ:দা:) আকরামুজ্জামান, প্রধান হিসাবরক্ষক এবং প্রকল্প পরিচালক (অ:দা:) সুকুমার চন্দ্র সাহা, প্রকল্প পরিচালক (অ:দা:), মোঃ আইয়ুব আলী, ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো: মনজুরুল ইসলাম, পদবি ব্যবস্থাপক (রক্ষণাবেক্ষণ) মোঃ সাইফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা আলম, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী করমকর্তা আসমা জাহান সরকার, নরসিংদী টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল হকসহ ১৫/১৬ জন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নরসিংদী তাঁত বোর্ডের (বিএসসি কোর্সকে) বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি জানিয়ে আসছে এখানকার শিক্ষার্থীরা। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে সোমবার দুপরে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকী, (এনডিসি), বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সচিব ও পরিচালকসহ (প্রশাসন) উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা করতে নরসিংদী তাঁত বোর্ডে আসেন। সভা শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। এসময় দাবি পূরণের লক্ষ্যে বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ একাধিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরুদ্ধ রয়েছেন।
শিক্ষার্থী স্বর্না আলম বলেন, গত ৪ মাস যাবৎ আমরা তাঁত বোর্ডের চেয়াম্যানের নিকট বিএসসি কোর্সকে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি তারা আমাদের দাবি না মেনে আমাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে নেয়ার কথা বলেন। এটাকি সম্ভব? এতদিন পড়ালেখা করে এখন ছাত্রত্ব বাতিল করে নিবো, তা হবে না।
অপর শিক্ষার্থী কাউছারুজ্জামান বলেন, গত ৪ মাস যাবৎ তাঁত বোর্ডের অধীনে নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা দেয়ার জন্য কোন শিক্ষক নেই। কোন ল্যাব নেই। এমনকি ৬ বছর পূর্বে এই কোর্সটি চালু হলেও আদো এই প্রতিষ্ঠানের কোন উন্নতি হয়নি। যার ফলে আমরা বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে যেতে চাই। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অবরুদ্ধ করে রাখবো।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি