রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর অভিযান, গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০৫
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উপজেলার পেরাছড়া এলাকায় বিশেষ অভিযানে গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই যুবক নিহত হয়।
আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুর ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, নিহত যুবক পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফের (প্রসীত খিসা) কর্মী।
তবে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা।
তিনি বলেন, ‘লংগদুতে নিহত ব্যক্তি আমাদের দলের কেউ নয়। ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতকে উসকে দিতে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের সংগঠনের নাম জড়ানো হচ্ছে। এটি একটি সাজানো নাটক।’
এদিকে লংগদু থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। থানার ওসি মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লংগদু ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের কিচিং ছড়া নামক এলাকা থেকে একটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছি। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটিতে পাঠানো হয়েছে।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার পেরাছড়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ সময় ইউপিডিএফের (প্রসিত খীসা) গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলে ইউপিডিএফের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় এবং বেশ কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী আহত অবস্থায় গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে, তল্লাশি চালিয়ে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল (এম-১৬), দুটি এমজি/স্নাইপার অ্যামোনিশন, ৯০টি রাইফেল অ্যামোনিশন, একটি ওয়াকি-টকি সেট, ১২টি মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনা অভিযান চলমান রয়েছে বলে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি