ডিবি পরিচয়ে অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৯
পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় আসার পথে বাস থামিয়ে ‘ডিবি’ পরিচয়ে ‘অপহৃত’ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কেরাণীগঞ্জের দোলেশ্বরপাড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধারের কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, “কেরাণীগঞ্জের ইকুরিয়া থেকে অপহৃত পটুয়াখালী জেলার মৌকরণ ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানাননি ডিবির এই কর্মকর্তা। তবে সন্ধ্যা ৬ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান মিজানুর।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম ঢাকার রমনা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সেলিম দুমকি উপজেলার লেবুখালী বাসস্যান্ড থেকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা ফিরছিলেন।
“পথে গভীর রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় একটি মাইক্রোবাস বাসটির গতিরোধ করে একদল লোক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাসে উঠে। পরে সেলিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।”
এদিকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে কোটি টাকার ‘চান্দা’ দাবি করা হয়েছে অভিযোগ করে সেলিমের স্ত্রী ফারহানা খানম বলেন, “ঢাকায় আসার পথে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সর্বশেষ কথা হয়েছে সেলিমের সাথে। তারপর সকাল ৬টায় আমার ঘুম ভেঙে গেলে দেখি ও আসেনি।
“আমি সাথে সাথে ফোন করলাম এবং সেলিমই ফোন ধরে আমাকে বলল, ফারহানা ওরা ৩০-৪০ জন লোক আমাকে আটকে রেখেছে। ওরা টাকা চায়।
“কিসের টাকা? জিজ্ঞেস করতেই একজন লোক ফোন কেড়ে নিয়ে বলল, চান্দা-চান্দা। সেলিমকে জিজ্ঞাসা করলাম- কত টাকা। বলল, এক কোটি। পরে আমি সেলিমের ফোনে এক লক্ষ টাকা দিয়েছি।”
এর পর বুধবার রাত ১০টার পর থেকে সেলিমের ফোন বন্ধ ছিল বলে জানান তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেলিমের সন্ধান পেতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘কাজ করার’ কথা জানিয়েছিলেন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম। এর কয়েকঘণ্টা পরই তাকে উদ্ধারের কথা জানাল ডিবি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি