ঢাকা, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুবকের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবি, নারী গ্রেপ্তার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৪

যুবকের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবি, নারী গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

চাঁদপুরে শামছুল হক গাজী নামে এক যুবকের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এক তরুণী। এই ঘটনায় ফারজানা আক্তার সাথী (৩০) নামে অপহরণকারী দলের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ফারজানা আক্তার সাথী শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মৃত সুমন জমাদারের স্ত্রী। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা মজিবুর রহমান।

জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শামীম সরকারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা চারজন নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়াবেটিস হাসপাতালে যান ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজী। পরে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে জরুরি কাজে বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুইজন নারীও তার সঙ্গে ওঠেন।

পরে অজ্ঞাতনামা দুই নারী শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগীকে নামতে না দিয়ে জোরপূর্বক শহরের মাদরাসা রোডের জান্নাত মহলের ৬ তলার শামীমের বাসায় নিয়ে যায়। পরে আসামিরা ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। মানসম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী তার ভাইকে ১ লাখ টাকা পাঠাতে বলে।

এ সময় অপহৃতের ভাই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রকিবকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মাদরাসা রোডের জান্নাত মহলে অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মজিবুর রহমান বলেন, মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি ফ্ল্যাটের মালিক শামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগী আসামি রুবি আক্তারকে ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকেলে ফারজানা আক্তার সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত