ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে যা বললেন ফরহাদ মজহার

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৮

৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে যা বললেন ফরহাদ মজহার
ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েতে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বায়াত্তরের সংবিধান বাতিল চাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।

এ নিয়ে আজ সোমবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।

চৌদ্দগ্রামের কোমাল্লা বিলকিস আলম পাঠাগার আয়োজিত ‘গণঅভ্যুথান পরবর্তী সমাজ সংস্কার ও বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন ফরহাদ মজহার।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ মিনারে গণজমায়েত ও ঘোষণাপত্র পাঠ সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমি জানি না তাঁরা ওইদিন কী ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের উদ্দেশে আমি বলব, রাষ্ট্র ও সরকার এক নয়, জনগণ ও সার্বভোমত্বই হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্র এবং সরকার এই দুই বিষয় আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা আশা করব, ছাত্ররা আমাদের কাছে এই বিষয়টি পরিষ্কার করবেন।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা সকলে মিলে মিশে একটা সমাজ, এই সমাজে থাকবে রাজনীতি, মুসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং সবাই মিলে হবে একটি সমাজ। এ সমাজ যদি সৃষ্টি করতে পারি, তাহলেই আমাদের মধ্যে কোনো ফ্যাসিজম হবে না। আর যদি না পারি তবে আমাদের মধ্যে আবারও ফ্যাসিজম সৃষ্টি হবে।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক দলের কৃতিত্বে হয় নাই। এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণ ছাত্রদের। ছাত্রদের সঙ্গে পরবর্তীতে এ দেশের আমজনতা একত্রিত হয়েছে। এরপরে হয়েছে গণঅভ্যুত্থান।’

ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘ইতিহাস ভুলে যাওয়াকে ফ্যাসিজম বলে। রাজনীতি মানে আমাদের একটি সমাজ। ফ্যাসিজম আমাদের সবার মধ্যেই রয়েছে। আমরা যদি ইতিহাস ভুলে যাই, তবে আমরাও ফ্যাসিস্ট হয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থাকাকালীন শেখ হাসিনা ইতিহাসকে ভুলে গিয়েছিলেন। তার জন্য তারা ফ্যাসিস্ট হয়ে গিয়েছে।’

ফরহাদ মজহার তরুণ প্রজম্মকে বেশি বেশি বই পড়ে, ইতিহাস জানার ওপর গুরুত্বরোপ করে বলেন, ‘তোমরা যত বেশি কোরআন, হাদিস এবং বই পড়বে, তত বেশি ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।’

মাওলানা মো. নূরুল আলম খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন—চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্যাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আগা আজাদ চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ড. সাহাব উদ্দিন আমহাদ, বানানের সভাপতি মো. রুমেল ও তরুণ কবি সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত