ঢাকা, বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

‘ঘোষণাপত্রে’ মুজিববাদী সংবিধান কবরস্থ ঘোষণা করা হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৬  
আপডেট :
 ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০০

‘ঘোষণাপত্রে’ মুজিববাদী সংবিধান কবরস্থ ঘোষণা করা হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এদিকে ঘোষণাপত্রে মুজিববাদী সংবিধান 'কবরস্থ' ঘোষণা করার দাবিও তোলেন তারা।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ঘোষণাকে সামনে রেখে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলামোটরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এসব কথা বলেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা চাই, মুজিববাদী সংবিধানকে কবরস্থ ঘোষণা করা হবে৷ যেখান থেকে এক দফার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেই জায়গা থেকে মুজিববাদী বাহাত্তরের সংবিধানের কবর রচিত হবে৷ আমরা প্রত্যাশা রাখছি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রটি ৫ আগস্টেই হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন হাসনাত আবদুল্লাহ৷ তিনি বলেন, এটি না হওয়ার কারণে গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী পাড়াসহ সব জায়গায় ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তিগুলো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দুই হাজারের বেশি শহীদ ও ২০ হাজারের বেশি আহতের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এর বৈধতা নিয়ে (লেজিটিমেসি) প্রশ্ন তুলছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা বিপ্লবের একটিমাত্র ধাপ অতিক্রম করেছি৷ জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আরও আগে ঘোষণা করা প্রয়োজন ছিল৷’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এই বিপ্লব যেমন ফ্যাসিস্টবিরোধী সবাইকে ধারণ করতে পেরেছিল, এই ঘোষণাপত্রও সবার আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে৷’

এর মধ্যে ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া করা হয়েছে বলে জানান সারজিস আলম। তিনি বলেন, এই বিপ্লবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-মত, ধর্ম ও বয়সের যে মানুষেরা সরাসরি অংশ নিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের মতামত নেওয়া হচ্ছে৷ এটি সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করা হচ্ছে।

সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই মাসের শুরু থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গড়ে ওঠা গণআন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।

আন্দোলনের সময় সহিংসতায় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায় বলে আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হচ্ছে। ক্ষমতার পালাবদলের পর হত্যা, গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা, পুলিশের সাবেক আইজিপি, সেনা কর্মকর্তার বিচার চলছে।

‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অক্টোবরে রাষ্ট্রপতির অপসারণের আন্দোলনের সময় ‘প্রোক্লেমেশনের অব রিপাবলিকের’ দাবি জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের দাবিও ছিল তাদের।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত