ঢাকা, বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

গভীর রাতে হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা, রুখে দিলেন শিক্ষার্থীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬

গভীর রাতে হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা, রুখে দিলেন শিক্ষার্থীরা
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চুন-কালি মাখানো ব্যঙ্গ গ্রাফিতির একাংশ মুছে ফেলেছে সিটি করপোরেশন কর্মীরা। পরে মুছে ফেলা অংশে নতুন করে আবারও গ্রাফিতি এঁকে দিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রাফিতির মুছে ফেলার এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, গভীর রাতে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ব্যঙ্গাত্মক গ্রাফিতি ক্রেন নিয়ে মুছতে আসে সিটি করপোরেশনের কিছু কর্মী। হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা এসে বাধা দিলে তারা এটি বন্ধ করতে বাধ্য হন।

শিক্ষার্থীরা জানান, হাসিনার গ্রাফিতিটা ছিল মূলত ঘৃণা স্তম্ভ। এটি জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি। তারা এটি দেখে প্রক্টরকে কল করলে তিনি এসে জানান যে, তাকে গোয়েন্দা সংস্থা কল করেছেন শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার ছবি মুছে দেওয়ার জন্য। পরে প্রক্টর এস্টেট অফিসকে জানালে তারা সিটি করপোরেশন ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেন। তবে তা শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সম্ভব হয়নি।

গ্রাফিতি মোছার পর রাতেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি অফিসিয়াল বিবৃতি দেবেন বলে জানান। একই সঙ্গে মুছে ফেলা অংশে শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার বিকৃত ছবি আঁকতে বলেন। এ সময় ঘৃণা স্তম্ভটিকে অফিসিয়াল স্বীকৃতি দেবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পরবর্তীতে রাতেই শেখ হাসিনার মুছে যাওয়া গ্রাফিতির অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা আরেকটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকেন।

শেখ হাসিনার পতনের আগেই গত ৩ আগস্ট মেট্রোরেলের পিলারে থাকা তার এ গ্রাফিতিতে কালি মেখে দেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন ও পরদিন (৩ ও ৪ আগস্ট) বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় সারাদিনই এর মধ্যে জুতা নিক্ষেপ করতে থাকেন জনতা। ফলে এটি জুলাই বিপ্লবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত