থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, যুবদল নেতা নিহত
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩
কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম (৩৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম ও রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
নিহত আশরাফুল উলিপুর পৌর শহরের ডিশ ব্যবসায়ী আয়নাল হকের ছেলে। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তাসভীরুল ইসলামের সমর্থক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর থানার গোল ঘরে উভয়পক্ষের কয়েকজন বসে বিবদমান একটি অরাজনৈতিক বিষয় মীমাংসার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে উপস্থিত যুবদল নেতা আশরাফুল সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন। এতে মারধরের মাঝে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তাৎক্ষণিক কোনও তথ্য জানাতে না পারলেও কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মুর্শেদ বলেন, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকজন আহত রয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনার জেরে উলিপুর উপজেলা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাসভীর গ্রুপের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা খালেকের সমর্থক আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন শুভেচ্ছা হোটেলে ভাঙচুর করেন। এ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকা পৌর শহরের বাসিন্দা কৃষকদল নেতা আবু জাফর সোহেল রানা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
উলিপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। থানার ভেতরে নয়, শুনেছি থানা চত্বরের কাছে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একজন মারা গিয়েছেন। আমি থানার উদ্দেশে রওনা হয়েছি।’
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ