শীতে কাঁপছে হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯
হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। রাত যত গভীর হয় তত তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হয়। আবার সকাল ৯টার পর থেকে রোদের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে শীতের তীব্র থাকেই না। তাপমাত্রার এই হেরফেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় চার দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, শুক্রবারও তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে। এ নিয়ে গত চার দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকালে দেখা যায়, ঝলমলে রোদ হওয়ায় যে যার কাজে ছুটছেন। তবে ভোরে ভ্যান চালানো, শাকসবজি তোলা, পাথর তোলা ও চা বাগানে কাজ করতে হাত-পা অবশ হয়ে আসে বলে জানান এই পেশার মানুষজন।
স্থানীয়রা বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে শীতের মাত্রা বাড়তে থাকে। খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করে অনেকে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা যেন জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসে। এ সময়টায় শরীরে ডাবল কম্বল বা লেপ নিলেও মনে হয় ঠান্ডা লাগে। বিছানা, ঘরের ফ্লোর, আসবাবপত্র সবকিছুই বরফ হয়ে উঠে। আবার সকাল ৯টার পর থেকে শীতের প্রকোপ আর তেমন থাকে না।
এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। অনেকেই আবার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ