ঢাকা, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৮

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মেঘনায় সারবাহী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত জনকে হত্যার ঘটনায় আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার র‌্যাব-১১ এর পাঠানো এক খুদে বার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

র‌্যাব জানায়, আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাজে হামলার শিকার আটজনের সঙ্গে ছিলেন ইরফান। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ দুপুরে কুমিল্লায় র‌্যাব-১১ এ ব্যাপারে ব্রিফিং করবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সাতজনের মৃত্যুর ঘটনায় হাইমচর থানায় জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে ৩৯৬/৩৯৭ ধারায় মামলাটি করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

খুনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন—মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার মো. সজিবুল ইসলাম, লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, আমিনুর মুন্সী ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সুকানী মো. জুয়েল (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকান্দর প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে।

মামলার বাদী মাহবুব মুর্শেদ এজহারে উল্লেখ করেন, জুয়েলের গলাকাটা থাকায় সে কথা বলতে পারেনি। ঘটনার বিবরণ দিতে পারেনি। সে সুস্থ হলে ডাকাতদল দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানায়। তবে জুয়েলের সাথে ইরফান নামে আরেকজন ছিল বলে সে লিখে জানায়। তবে তার ঠিকানা দিতে পারেনি।

ঘটনার পর পুলিশ ওই জাহাজ পরিদর্শনের সময় একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্ট ফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সীল, একটি হেডফোন জব্দ করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, জাহাজে খুন হওয়াদের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ মঙ্গলবার বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ও নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের স্বজনদের ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। তবে বাবুর্চি রানা কাজীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত না হওয়ায় তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড জেলা ও নৌপুলিশের সমন্বয়ে আলাদাভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত