বাতিল হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২
যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে সেতু ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’র নাম বদলে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সেতুর পশ্চিমপাড় এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন যমুনা রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ রেলপথ মন্ত্রণায়লের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ফাহিমুল ইসলাম বলেন, সেতুটি কি নামে পরিচিত হবে তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্ব-স্ব স্থানের নামেই স্থাপনার নাম দিতে আগ্রহী। তাই নবনির্মিত রেলওয়ে সেতুটির ক্ষেত্রেও তাই হতে পারে।
রেলপথ সচিব আরও বলেন, ‘১৯৯৮ সালে উদ্বোধন করা যমুনা বহুমুখী সেতুতে একটি সিঙ্গেল রেলসেতু ছিল, যেটি অতিক্রম করতে সময় লাগত প্রায় ২০ মিনিট। ফলে এখানে একটি পৃথক রেল সেতু নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের, যেটি এই সেতুটি চালুর মধ্য দিয়ে পূরণ হতে যাচ্ছে। এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে দ্রুতগতিতে।’
ইতোমধ্যে সেতুর ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামি জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে এ সেতুর উদ্বোধন হবে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।’
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ নাম দিয়ে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের এই সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে ৭২ ভাগ অর্থ ঋণ দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করপোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজ করে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন রেল সেতু চালু হলে ডাবল লাইনে দ্রুতগতিতে মালবাহীসহ ৬৮টি ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি