এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলিতে নীতিমালা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৬
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা পেতে যাচ্ছেন বদলির সুযোগ। এ জন্য এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা ২০২৪ প্রণয়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বদলি নীতিমালা অনুযায়ী, একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ দুইবার এবং একজন শিক্ষিকা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলির সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সই করা নীতিমালা থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
নতুন প্রজ্ঞাপন জারির সঙ্গে গত ১ আগস্ট জারি করা নীতিমালাটি বাতিল করা হয়েছে। বদলির সাধারণ শর্তে যা বলা হয়েছে-
বদলি নীতিমালায় ১৫ শর্ত পূরণ করতে পারলে একজন বেসরকারি শিক্ষক এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি হতে পারবেন। এরমধ্যে রয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক শূন্যপদের চাহিদা বা বিবরণ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করবে, সেই শূন্যপদের বিপরীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বদলির আবেদন আহ্বান করবে।
সমপদে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলির জন্য ১ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ জারি হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন হবে।
আবেদনকারী শিক্ষক তার চাকরির আবেদনে উল্লেখ করা নিজ জেলায় বদলির জন্য আবেদন করবেন। তবে, নিজ জেলায় পদ শূন্য না থাকলে নিজ বিভাগের যেকোনো জেলায় বিদ্যমান শূন্যপদের বিপরীতে বদলির আবেদন করতে পারবেন।
বদলির আবেদনের জন্য চাকরি দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। বদলি হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ন্যূনতম দুই বছর কর্মে নিয়োজিত থাকার পর পরবর্তী বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ দুইবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
তবে, একজন শিক্ষিকা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলির সুযোগ পাবেন। একটি শূন্য পদের জন্য একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে জ্যেষ্ঠতা, নারী ও দূরত্ব বিবেচনায় বদলি অনুমোদন করা হবে।
চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে সিনিয়রিটি গণনা করা হবে। একটি পদের জন্য প্রতিযোগী সব আবেদনকারী কর্মস্থল একই উপজেলায় হলে তাদের কর্মস্থল উপজেলার কেন্দ্র হতে কাঙ্ক্ষিত উপজেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করে সবার জন্য প্রযোজ্য করতে হবে।
একটি পদের জন্য প্রতিযোগী আবেদনকারী বিভিন্ন উপজেলার হলে তাদের কর্মস্থল জেলার কেন্দ্র হতে কাঙ্ক্ষিত জেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করে সবার জন্য প্রযোজ্য করতে হবে। ইচ্ছাকৃত ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তি আরোপ করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম