ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

র‌্যাবের গুম-খুন, আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন মহাপরিচালক, চাইলেন ক্ষমা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৩

র‌্যাবের গুম-খুন, আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন মহাপরিচালক, চাইলেন ক্ষমা
র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাহিনীর গুম ও খুনের দায় স্বীকার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, গুম ও খুনের ঘটনাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারেই র‍্যাবের দায়মুক্তি সম্ভব।

'গুম তদন্ত কমিশনের' নির্দেশে ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সেসব গোপন নির্যাতন কেন্দ্র ‘অপরিবর্তিত অবস্থায়’ রাখার কথা বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার কারওয়ানবাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বাহিনীর বিরুদ্ধে থাকা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন র‌্যাব প্রধান।

বিভিন্ন সময়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনের যেসব অভিযোগ উঠেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিচারের প্রত্যাশা জানিয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।

শহিদুর রহমান বলেন, যত ধরনের অভিযোগ আছে, গুমের বিষয়ে, খুনের বিষয়ে, আয়নাঘরের বিষয়ে, এটা গুম-খুন কমিশন তদন্ত করছে। আমরা তাদের সার্বিকভাবে এ তদন্তে সহায়তা করছি। আমরা আশা করব, এ তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে একটা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

র‌্যাবে ‘আয়নাঘর’ ছিল কি-না জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, র‌্যাবে যে আয়নাঘরের বিষয়টা এসেছে, এটাতো ছিল, আছে। কমিশন আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে যে, সেটা যে অবস্থায় আছে ওই অবস্থায় রাখার জন্য। কোথাও এখন কোনরকম যেন পরিবর্তন, পরিবর্ধন না করা হয়। সে অনুযায়ী আমরা ঠিক ওইভাবেই রেখেছি, যা যেভাবে ছিল।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের বহু মানুষকে তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার অভিযোগ ওঠে, সেইসব বন্দিশালাকে প্রতীকী হিসেবে ‘আয়নাঘর’ নাম দেওয়া হয়েছে।

শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাবের কেউ আইন হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ৪ হাজারের বেশি র‍্যাব সদস্যকে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর গত ৪ মাসে ১৬ র‍্যাব সদস্যকে আটক করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের 'গুম তদন্ত কমিশন' গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কমিশনে যত অভিযোগ পড়েছে, তার বেশিরভাগই পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র‌্যাবের বিরুদ্ধে।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যে র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে বিএনপি, যদিও ২০০৪ সালে তাদের সরকারের সময়ই এ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত