কুড়িগ্রামে জামায়াত কর্মীকে মারধর, দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৫
কুড়িগ্রামে ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের জেরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রৌমারী উপজেলার বড়াইকান্দি বাজারে মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ জামায়াতের। এ বিষয়ে উপজেলা শহরে উভয় দলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জামায়াতের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ফেসবুক পোস্টে কমেন্টের জেরে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রৌমারী উপজেলার বড়াইকান্দি বাজারে জামায়াতের দুই কর্মীকে মারধর করেছে ইসলামীআন্দোলনের কর্মীরা। এ নিয়ে রৌমারী উপজেলা শহরে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
জানা গেছে, ইসলামী আন্দোলনের রেজাউল ইসলাম নামে এক কর্মী ফেসবুকে ‘বাইন মাছে জিকির করে’ চরমোনাই পীরের এমন একটি ওয়াজের ভিডিও পোস্ট করেন। এতে জামায়াতের মোসলেম উদ্দিন নামে এক কর্মী কমেন্ট করেন, ‘যারা এমন ওয়াজ করেন তারাও মূর্খ, যারা শোনেন তারাও মূর্খ’। এর জেরে ক্ষেপে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শুক্রবার সন্ধায় বড়াইকান্দি বাজারের একটি দোকানে মোসলেমকে ডাকলে আনোয়ার হোসেন নামে আরেক জামায়াতকর্মীসহ সেখানে গেলে ফেসবুকে পোস্ট ও কমেন্ট নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে জামায়াতের দুই কর্মীকে মারধর করেন তারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
ভুক্তভোগী জামায়াত কর্মীর অভিযোগ, ইসলামী শাসনতন্ত্রের মোনতাজ, সাহেব আলী, মিজানুর, সহিদুর, রেজাউল, সাইদুর, আমিনুল, শফিকুলসহ আরও কযেকজন মিলে তাদের মারধর করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে জানা যায়, ঘটনার পর দল দুটির নেতৃস্থানীয়রা বৈঠকে বসে ঘটনার আপোসের উদ্যোগ নেয়। শনিবার ওই বৈঠক বসার কথা থাকলেও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে বৈঠকে যাননি ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এতে ক্ষোভ দেখা দেয়া এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
রৌমারী উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আকতার হোসেন জানান, বিষয়টি আপোষের চেষ্টা চলছে। শনিবার বড়াইকান্দি বাজারে বৈঠকের তাদের অনেক লোকজন থাকায় আমাদের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। সে কারণে উপস্থিত হয়নি। তবে বসা হবে।
রৌমারী উপজেলা জামায়াতের আমির হায়দার আলী জানান, আমাদের কর্মীরা মারধরে আহত না হলেও অপমাণিত হয়েছেন। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তারাই আসেননি। থানায় অভিযোগ করেছি ঠিক আছে। তবে আমরা আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান চাই।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা একটা লিখিত দিয়ে গেছে। তবে তারা বলেছে দুই পক্ষ বসে আপোষ করে নেবেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ