ব্যবসা-বাণিজ্যে অসহযোগিতা করলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৫ আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০২
নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে ভারত বাংলাদেশের সাথে ভালো সম্পর্ক না রাখলে তারও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারত তো আমাদের কাছে বিনা পয়সায় মালামাল দেয় না। পয়সা নিয়েই দেয়। তারা যদি মনে করে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করবে বন্ধ করুক। তারা গরু বন্ধ করেছে। তাই বলে কি আমরা এখন গরু খাচ্ছি না। ওনারা বন্ধ করলে ওনারা ইকোনমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়িত। রাজনৈতিক অবরোধ বিভিন্ন সময়ে দুই পাশেই হয়ে থাকে, এ কারণে ২/১ দিনের সমস্যা হতে পারে। তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা এসব মেনে নিবে না। এই বাজারটাকে তারা নষ্ট করবে না। তাই আমাদের কারোর চিন্তা করার কোনো কারণ নেই, ব্যবসা নষ্ট করলে তাদের বেশি ক্ষতি।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়িয়ে তাদের টিআরপি বাড়াচ্ছে মন্তব্য করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের কারণে আমাদের থেকে তাদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ ভারতের সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে থাকতে চায়, কিন্তু এসব দেখলে তারা ভারতের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়। ভারতীয় মিডিয়ার গুজবে তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
জাতীয় ঐক্যের ব্যপারে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোই সরকার গঠন করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে স্বাধীনতার ৫২ বছরে সবগুলো রাজনৈতিক দল কোন সময়ে এক টেবিলে বসেনি। তবে এই সংকটকালীন সময়ে সব দল একসাথে বসেছে। এমনকি ধর্মীয় নেতারা বসেছে। আশা করি আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও সংকটকালীন সময়ে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এর আগে বেলা ১২টার সময় ভোমরা স্থল বন্দরে পৌঁছে প্রথমে ভোমরা ইমিগ্রেশন পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট যাত্রীদের কোন হয়রানি হয় কিনা সে বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি ভোমরা কাস্টমসের যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানার মেশিন, স্থলবন্দরের পণ্য পরিমাপ স্কেলসহ বন্দরের বিভিন্ন সেড পরিদর্শন করেন।
পরে ভোমরা স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর আয়োজিত ভোমরা স্থলবন্দরের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, যশোর বিজিবি সদর দপ্তরের রিজন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটেলিয়ন বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক, ভোমরা কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ভোমরা সি এন্ড এফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা, ভোমরা আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি