ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সেই তরুণী, বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় খুন 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৭  
আপডেট :
 ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০২

অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সেই তরুণী, বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় খুন 
ছবি: সংগৃহীত

অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা বিয়ের চাপ দেয়ায় তাকে খুন করে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ফেলে প্রেমিক পালিয়ে যান, তবে শেষ রক্ষা হয়নি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ঘাতক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা করেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের বিররণ তুলে ধরে এই দাবি করেন।

এর আগে শনিবার সকালে এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছি এলাকা থেকে শাহিদা ইসলাম রাফার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্ধ্যায় লাশ শনাক্ত করেন তার মা। সোমবার ভোরে তৌহিদ শেখ তন্ময়কে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচের ডোবা থেকে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় রাস্তার পাশে শাহিদার রক্তমাখা ভ্যানেটি ব্যাগটিও জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার তৌহিদ শেখ ওয়ারীর বনগ্রাম এলাকার প্রয়াত শফিক শাহর ছেলে। অনদিকে, রাফার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন। শাহিদা পরিবারের সঙ্গে ওয়ারিতে থাকতেন। শিশুদের স্কুলে আনা-নেয়ার কাজ করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইউটিউবে ভিডিও দেখে রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুট করা পিস্তলটি চালানো আয়ত্ব করেন তৌহিদ শেখ তন্ময়। তিনি মাওয়ায় ইলিশ মাছ খাওয়ানোর কথা বলে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শাহিদাকে ফোন করে কৌশলে ডেকে নেন। খাওয়া শেষে রাতভর তারা মাওয়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। ভোরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রাফাকে হত্যার পর তন্ময় ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালাতে চেয়েছিলেন।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, তৌহিদ তার পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় সোমবার রাতে ঢাকা থেকে লঞ্চে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গভীর তদন্ত ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। পরে ভোলার ইলিশাঘাট এলাকায় লঞ্চের কেবিনের ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, গুলিতে নিহত সাহিদা ইসলাম রাফা আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এক মাস আগে বিষয়টি জেনে যান তার প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর মেয়েটি বিয়ে করতে তন্ময়কে চাপ দেয়। কিন্তু ওই সন্তান নিজের কিনা এ নিয়ে সাহিদার সঙ্গে তন্ময়ের তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তন্ময় তার প্রেমিকাকে খুন করেন। এ ব্যাপারে রাফার মা জরিনা বেগমের করা শ্রীনগর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত