ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি

প্রতারণার মামলায় বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কারাগারে

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫

প্রতারণার মামলায় বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কারাগারে
ছবি: প্রতিনিধি

প্রতারণার মামলায় বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আওয়ামী লীগনেতা কায়সার ই আলম প্রধানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নরসিংদীর বেলাবতে একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. মেশকাতুল ইসলাম কায়সার ই আলম প্রধানের জামিন আবদেন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত কায়সার ই আলম প্রধানের বাড়ি বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামে। তিনি জুপিটার পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেসিডিয়াম সদস্য।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আরিফুর রহমান কায়সারের কাছ থেকে উজিলাব মৌজায় ৯.২৫ শতাংশ জমি কেনার কথাবার্তা হয়। তারা জমির মূল্য ২৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। পরে কথামত আরিফুর দুই ধাপে ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।

এরপর ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর কায়সার আলম দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বেলাবো সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল সম্পাদনের জন্য ১০ পাতা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপসই দেন। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রেশন না করে দিয়ে সেখান থেকে কৌশলে চলে আসেন। এরপর জানা যায়, ওই জমি আরও চারজনের কাছে বিক্রি করেছেন। তাঁর জালিয়াতির কথা জানতে পেরে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে তিনি তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার হুমকি দেন।

পরে আরিফুর রহমান নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে (বেলাব আমলি আদালত) কায়সার ই আলম প্রধানকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে প্রতারণার মামলা করেন। এরপর আদালত বেলাব থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।

বেলাব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হলে কায়সার ও ৪ নম্বর আসামি নাজমুল ইসলাম আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।

আদালত সবকিছু পর্যালোচনা করে কায়সারের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠন, আর নাজমুলের জামিন মঞ্জুর করে বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, বাদী সরল বিশ্বাসে জমি কেনার জন্য কায়সারকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বাদীর কাছ থেকে জমি বিক্রির টাকা নিয়েও আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। আমরা আদালতে তার সই করা সব আসল ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছি। যার ফলে বিজ্ঞ আদালত সব কিছু বিবেচনা করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত