সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৭ কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৬
জুলাইয়ে হত্যাকাণ্ডকে সামনে রেখে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সাতটি অগ্রাধিকার কার্যক্রম নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ফারুকী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বাস করে দেশ সবার। এখানে ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করা যাবে না। এতোকাল সংস্কৃতিকে একটি সংকীর্ণ জায়গা থেকে দেখা হয়েছে। ভাবা হয়েছে গান, বাজনা, নাচ, সিনেমাই হলো সংস্কৃতি। এই সরকারের সাংস্কৃতিক নীতির মূলে থাকবে বহুজন, বহুধর্ম, বহুভাষা। সবার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে চায় সরকার।
এ সময় উপদেষ্টা যেসব কাজে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে সেগুলো তুলে ধরেন-
১. রিমেম্বারিং মনসুন রেভুল্যুশন: রিমেম্বারিং মনসুন রেভুল্যুশন বাস্তবায়ন যা বাংলাদেশি তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এবং নবতরণ সৃষ্টি করবে। এতে বাংলাদেশের ৮ জন শীর্ষ নির্মাতার মাধ্যমে ৮টি বিভাগে ৮টি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট মেকিং কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ওয়ার্কশপের আউটপুট হিসেবে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা হবে।
এছাড়া ৮টি নতুন থিয়েটার প্রোডাকশন তৈরি করা হবে। নজরুলের গান নিয়ে দেশের তরুণদের কাছে জনপ্রিয় শীর্ষস্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটি অ্যালবাম তৈরি করা হবে এবং এটা প্রকাশনা উপলক্ষ্যে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হবে। এই কনসার্টটি সারা দেশে সম্প্রচার করা হবে এবং ফটোগ্রাফি পেইন্টিং ও কার্টুন প্রদর্শনী করা হবে।
২. তারুণ্যের উৎসব: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব’ উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে করবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৩. দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি: বাংলাদেশি শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি আয়োজন করতে চাই। যুবক-যুবতীদের মধ্যে নতুন সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা একটি দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি আয়োজন করতে চাই।
৪. ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প: রিমেম্বারিং মনমুন রেভুল্যুশনে যে লাখ লাখ মানুষ যুক্ত হয়েছে, তাদের অংশগ্রহণের ইতিহাস ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ড করে আমাদের কাছে পাঠানোর জন্য, যাতে একটি বৃহৎ ডিজিটাল আর্কাইভিং করা হবে। আপনার অভিজ্ঞতা, অংশগ্রহণ বা আপনার চোখে দেখা গল্প আপনি আপনার মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করে পাঠান আমাদের কাছে। এই ভিডিওগুলো আমরা প্রচারের ব্যবস্থা নেব এক্সিবিশনের মাধ্যমে।
৫. বাংলা একাডেমি সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প: বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের জন্য সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা এবং বই প্রকাশনার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ ও ১০টি এক বছর মেয়াদি গবেষণা বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে।
৬. জাতীয় জাদুঘরে আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন: জাতীয় জাদুঘরের অডিটোরিয়ামে প্রক্ষেপণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করা হবে, যাতে স্টেজ পারফরমেন্সসহ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র/ডকুমেন্টরি ও অন্যান্য ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট ও সারা বছরব্যাপী প্রদর্শন করা যায়।
৭. শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওটিটি প্লাটফর্মের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ-তরুণীদের জন্য শো-ক্রিয়েটর কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
এসময় বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা এলাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গণগ্রন্থগারের মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম