ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

টাঙ্গাইল

চাঁদা আদায়ের ক্ষোভে শ্রমিক কার্যালয়ে আগুন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২৬

চাঁদা আদায়ের ক্ষোভে শ্রমিক কার্যালয়ে আগুন
সংগৃহীত ছবি

টাঙ্গাইলে রিকশাচালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় ও ভর্তি ফি নেয়ার প্রতিবাদে শ্রমিক কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকজন শ্রমিকনেতা আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা রিকশা শ্রমিক কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকরা কার্যালয়ে তিনটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে ফেলেন।

আহতরা হলেন- জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার সালাম ও রুপচান।

শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, পূর্বে ভর্তি ফি এক হাজার টাকা ছিল যা এখন বৃদ্ধি করে ১৫৬০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ টাকা মাসিক চাঁদা করাসহ ২০০ টাকা জরিমানা নিয়ে ভর্তি না হওয়া শ্রমিককে পাঁচ থেকে সাত দিনের সময় দিতেন সমিতির নেতৃবৃন্দ, যা নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আজ সকালে সাধারণ শ্রমিকরা চাঁদা ও ভর্তি ফি না দেওয়ার জন্য মাইকিং করতে থাকেন।

এ সময় নেতৃবৃন্দ মাইক ম্যানকে আটক ও মারধর করে ছেড়ে দেন। একপর্যায়ে মারধর করার খবর পেয়ে শ্রমিকরা অফিস কার্যালয়ে হামলা, নেতৃবৃন্দকে মারধর ও অগ্নিসংযোগ করে।

রিকশাচালকরা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি নামমাত্র আহ্বায়ক কমিটি করে চাঁদার টাকা লুটপাট করা হয়েছে। শ্রমিকদের শুধু মৃত্যু বোনাস, বিবাহ ভাতা আর নামমাত্র চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়। সমিতিতে মোট কত টাকা চাঁদা আর ভর্তি ফি জমা আছে সেটিও আমরা জানি না। জানতে চাইলে নেতৃবৃন্দ দুর্ব্যবহার করে। এসব কারণে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, কার্যালয়ে আমাকে বেঁধে রেখে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর বাঁধন খুলে আমি বের হই। আগুনে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।

রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সিহাব বলেন, চাঁদা ও ভর্তি ফি দেবে না বলে মাইকিং করছিল সাধারণ শ্রমিকরা। এ সময় তাদের মাইকটি আটক করা হয়। এই ক্ষোভে শ্রমিকরা নেতৃবৃন্দকে মারধর এবং অগ্নিসংযোগ করেছে।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক এস এম হুমায়ুন কাণায়েল বলেন, আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। কার্যালয়ে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলসহ কিছু আসবাবপত্র এবং কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ভিক্টর ব্যানার্জি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত