ঢাকা, রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শব্দদূষণ বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩৫

শব্দদূষণ বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

শব্দদূষণ বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, শব্দদূষণের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। বাংলাদেশ শব্দদূষণের পৃথিবীতে এক নম্বর অবস্থানে আছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছি। কিন্তু এরকম একটি প্র্যাকটিস চালু রাখবো সেটি হতে পারে না। অন্তত শহরগুলোতে শব্দদূষণ বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ অডিটোরিয়ামে তৃতীয় ন্যাশনাল ন্যাচার ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, শব্দদূষণের প্রথম উৎস হচ্ছে হর্ন। এটি আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা নিজেদের গাড়ি থেকেই যদি হর্ন না বাজানোর অভ্যাস করতে পারি, তাহলে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সামনের ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকার ১০টি রাস্তায় হর্ন বাজানো বন্ধে সচেতনতা তৈরি করা হবে। তারপর আমরা আইন প্রয়োগের কাজ শুরু করবো। আমরা এরই মধ্যেই বিমানবন্দর এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করেছি এবং সেখানকার কিছু অভিজ্ঞতাও আমাদের হয়েছে বলে উপদেষ্টা তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

জলবায়ুগত পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, গত ৫০ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে। আবার দক্ষিণ অঞ্চলে এরকম বন্যাও মানুষ আগে কখনও দেখেনি। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি বড় কারণ হচ্ছে— পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, আমাদের কাছে (বাংলাদেশে) নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে। যা আমরা অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় অনেক কম টাকায় পেতে পারি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিটি ভবনের ওপরই যে সোলার প্যানেল রয়েছে সেটি কাজ করে না। যদি ওই সোলার প্যানেলগুলো কাজ করতো— তাহলে ২০ মিনিট কিংবা কয়েক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে কাউকে চিন্তিত হতে হতো না। আর সরকারকেও উচ্চমূল্যে জ্বালানি কিনে এনে সরবরাহ করতে হতো না। সৌর এবং বায়ুবিদ্যুতে বাংলাদেশে বড় সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— ন্যাচার ক্লাবের চিফ কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ নুরুন্নবীসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে ন্যাচার ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত