ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল ছাড়লেন সাদপন্থীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২৮

জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল ছাড়লেন সাদপন্থীরা
সংগৃহীত ছবি

লাখো মুসল্লির জমায়েত নিয়ে কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করলেন তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদপন্থীরা। ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতের পর তারা মসজিদ ছাড়তে শুরু করেন।এর কিছু সময়ের মধ্যে ফাঁকা হতে শুরু করে কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশের এলাকা।

দাওয়াতি কার্যক্রম না থাকায় সাদপন্থিরা শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল এলাকা ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন। এছাড়া যাদের দাওয়াতি কার্যক্রম রয়েছে, কেবল তারা কাকরাইল মারকাজ মসজিদে অবস্থান করছেন। অনুসারীদের কাকরাইল মসজিদ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কাকরাইল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সাদপন্থীরা কাকরাইল মসজিদ এলাকায় আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তাদের জমায়েত বড় হতে থাকে। দুপুর ১২টার আগে লাখো মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় কাকরাইল, বিজয় নগর, হাইকোর্ট, মৎসভবন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটসহ এর আশেপাশের সব এলাকা। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবনে যাবার পথটি বন্ধকরে দেয়া হয়।

এদিকে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে মাওলানা যুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ ও মাওলানা সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী আজ সাদপন্থিরা কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানকে দখল করার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্রতর হচ্ছে। দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। সাদপন্থিরা জানিয়েছেন, আজকে তাদের অবস্থানে যদি কেউ বাধা দেয় ও কোনো ঝামেলা হয়। এর দায়ভার যুবায়েরপন্থিদের নিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী সাদপন্থিদের আজ কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের কথা থাকলে গেল কয়েকদিন আগে যুবায়েরপন্থিরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, কাকরাইল মসজিদ শুধুমাত্র মূল ধারার তাবলিগের জন্য। যদিও এই কথাকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা মনে করছেন জুবায়েরপন্থিরা তাদের মসজিদে অবস্থান করতে বাধা দেবেন।

এই কথা বিবেচনা করে মাওলানা সাদপন্থিরা জুমার নামাজ আদায় করা এবং আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের জন্য বড় ধরনের জমায়েত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় মাওলানা যুবায়েরের অনুসারীরা সকালে মসজিদের অবস্থান থেকে সরে যায়। দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় সেই কারণে সকাল থেকেই কাকরাইল মসজিদকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত