আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৭
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালন করা হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল, র্যালি, ফ্রি ডায়াবেটিস পরীক্ষা, চিকিৎসা নির্দেশনা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ এণ্ড হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইলোজি বিভাগের উদ্যোগে এ দিবসটি পালন করা হয়। প্রতি বছর ডায়াবেটিস দিবসে একটি করে প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো- 'ডায়াবেসিট এবং সুস্থতা'।
আলোচনা সভায় চেয়ারপারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসিমুল ইসলাম। স্পিকার হিসাবে ছিলেন এন্ডোক্রাইনোলজি ও ডায়াবেটিস বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ, সার্জারির বিভাগের প্রধান আবদুস সালাম আরিফ। এছাড়াও আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এন্ডোক্রাইনোলজি ও ডায়াবেটিস বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম (৮ম)। আগামী ৪ বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে আশংকা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সে হিসেবে দেশের চারটি অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম এই ডায়াবেটিস রোগের সংখ্যা ২০২৫ সালে দেড় কোটি ছাড়বে বলে আশংকা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইডিএফ এর তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রতি ছয় সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হয় এবং ওই সময়ের মধ্যে দুইজন নতুন ডায়াবেটিস রোগী জন্ম নেন।
ডায়াবেটিস থেকে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য শৃঙ্খল জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন যা পাবেন তখন তাই খাওয়া যাবে না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ যদি শুধু শৃঙ্খলা, খাদ্য ব্যায়াম, ওজন কমানোর পরেও নিয়ন্ত্রণে না আসে তা হলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর ঔষধের প্রয়োজন হয়।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস প্রতি বছরের ১৪ নভেম্বর পালন করা হয়। এ স্যার ফ্রেডরিক ব্যান্টিংয়ের জন্মদিন। যিনি ১৯২২ সালে চার্লসের সাথে ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিলেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এটি একটি মারাত্নক নিরব ঘাতক রোগ। বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের মাত্রা ৭ এর নিচে থাকলে স্বাভাবিক ধরা হয়। কিন্তু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ ৭ এর নিচে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/ওএফ