জুলাই গণহত্যার ১০০তম দিনে 'শহীদি স্মৃতিকথাঃ কান্দে আমার মায়'
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪
জুলাই গণুভ্যুত্থানের ১০০ তম দিন উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে শোকগীতি, পথনাট্য,দোয়া ও 'শহীদি স্মৃতিকথায় কান্দে আমার মায়' শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ। অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ সন্তানদের মায়েদের মুখে নিজ সন্তানের শাহাদাতের বেদনাদায়ক বর্ণনা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন উপস্থিত দর্শক-স্রোতারা। এসময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান আল হাদি শহীদদের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ৪দফা দাবি পেশ করেন।
বুধবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে ইনকিলাব মঞ্চের এই আয়োজনে অভিনয়, পথনাট্য, শোকগীতি এবং শহীদদের মায়েরদের স্মৃতিচারণে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বরণ করা হয় শহীদদের।
অনুষ্ঠানে শহীদ জননীরা সন্তানদের শাহাদাতের স্মৃতি এবং অনুভূতি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্ণনা করেন।
শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণ করেন দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাস। একটি বুলেট তার বুকের বাঁ পাশ দিয়ে ঢুকে পিঠ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। আনাস সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে পড়ার টেবিলের ওপর মাকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লিখে বেরিয়ে যায়।
শহীদ আনাসের মা সানজিদা খানম। একমাত্র সন্তানের বেদনা আজও বুকে বহন করে চলছেন তিনি। ইনকিলাব মঞ্চের এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সকালের নাশতা আনতে ছোট ছেলেকে পাঠাই আনাসকে ডাকতে। সে এসে বলে, ভাইয়া ঘরে নেই। আমি তৎক্ষণাৎ ছুটে যাই আনাসের রুমে। ঘর খালি, হঠাৎ চোখে পড়ে আনাসের পড়ার টেবিলে থাকা একটি চিঠি।
চিঠিতে আনাস লিখেছে–
‘মা, আমি মিছিলে যাচ্ছি। আমি নিজেকে আর আটকিয়ে রাখতে পারলাম না। সরি আব্বুজান। তোমার কথা অমান্য করে বের হলাম। স্বার্থপরের মতো ঘরে বসে থাকতে পারলাম না। আমাদের ভাইরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে রাজপথে নেমে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিচ্ছে। একটি প্রতিবন্ধী কিশোর, ৭ বছরের বাচ্চা, ল্যাংড়া মানুষ যদি সংগ্রামে নামতে পারে, তাহলে আমি কেন বসে থাকব ঘরে। একদিন তো মরতে হবেই। তাই মৃত্যুর ভয় করে স্বার্থপরের মতো ঘরে বসে না থেকে সংগ্রামে নেমে গুলি খেয়ে বীরের মতো মৃত্যু অধিক শ্রেষ্ঠ। যে অন্যের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেয় সে-ই প্রকৃত মানুষ। আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে কষ্ট না পেয়ে গর্বিত হইও। জীবনের প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই। আনাস।’
সানজিদা খানম দেশের সরকার ও জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনারা আমাদের সন্তানদের ভুলে যাবেন না। আজকে যে স্বাধীনতা আপনারা ভোগ করছেন,তা আমাদের সন্তানদের লাশের উপর দিয়ে এসেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, 'একটা মায়ের জন্য তার সন্তানের লাশ কোলে নেয়ার চেয়ে কষ্টের কাজ আর নেই। প্রত্যেকে অন্তত একজন আহতের দায়িত্ব নেন। যে ভাইদের রক্ত দেখে আমার সন্তান ঘর থেকে বের হয়েছে, সে ভাইরা আমার সন্তানকে ভুলে যাবেন না। মায়েদের সন্তানের রক্তকে ভুলে যাবেন না। আনাস এবং সকল শহীদের রক্তকে বৃথা যেতে দিবেন না।'
শহীদ আব্দুল্লাহ বিন জাহিদ
শহীদ আব্দুল্লাহ বিন জাহিদ ছিলেন ১৭ বছরের তরুণ। ঢাকার শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের বাণিজ্য বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মা-বাবার বারণকে উপেক্ষা করে লুকিয়ে অংশগ্রহণ করতেন মিছিল-মিটিংয়ে। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালে বিজয় মিছিলে বের হয়েছিলেন তিনি। মাকে না বলেই দুপুরে খাবার খেয়ে বের হয়ে পড়েছিলেন বিজয়ের আনন্দে ভাগ বসাতে! কিন্তু হঠাৎ একটি সংবাদ যেন সুখি পরিবারটিকে স্তব্ধ করে দেয়। উত্তরায় বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল্লাহ বিন জাহিদ। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎই বড় ছেলের মৃত্যুর সংবাদে তাদের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
শহীদ জননী ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, 'আমার সন্তান ৫ই আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিটে জানায়, আধা ঘণ্টার মধ্যে সে বাসায় ফিরবে। আমার জীবনের সেই আধাঘণ্টা আজও শেষ হয়নি। এই আধাঘণ্টা শেষ হওয়ার আশা বুকে নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে'
বড় ছেলেকে হারিয়ে মা ফাতেমাতুজ জহুরা ও বাবা জাহেদুল ইসলাম সোহরাব পাগলপ্রায় হয়ে যান। কোনোভাবেই থামে না তাদের শোক! পরের দিন সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বর্শিকুড়ায় বড় ছেলের লাশ দাফন করা হয়।
বিজয় মিছিলে বড় ছেলের মৃত্যু, ছোট ছেলের ক্যান্সার পরিবারটি আর সইতে পারছে না। বাবা জাহেদুল ইসলাম সোহরাব গার্মেন্টস এক্সেসরিজ সাপ্লাই এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল-এর চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে বসবাস করছেন। মা ছোট ছেলেকে ঢাকায় চিকিৎসা করাতে ব্যস্ত।
আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমাতুজ্জোহরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া মা। আমার জীবনের ৮০ভাগ জুড়ে ছিল বড় ছেলে। তাকে হারানোর কয়েকদিন পরই আমার ছোট ছেলের ক্যান্সার ধরা পড়ে। মাসে ১৫ দিন হাস্পাতালে পড়ে থাকতে হয়। ৩ মাস চলে গেলেও আজও কিছু গোছাতে পারিনি। আমার বড় ছেলের শাহাদাতে আমার পৃথিবীটা তছনছ হয়ে গেছে।
শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীন
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুজ্জামান তানভীন স্বপ্ন দেখতেন দেশ ও বিদেশের আকাশে তার বানানো ড্রোন উড়বে। তবে তার স্বপ্ন পূরণের আগেই শহীদ হয়েছেন জুলাই বিপ্লবে। শেষবারের মতো তাকে বিদায়ও জানাতে পারেননি তার মা বিলকিস জামান।
তিনি জানান, গত ১৮ জুলাই দুপুরে ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে পুলিশ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় তানভীন। ঘটনাস্থলে শহীদ হয় সে। পুলিশের গুলি তার গলার পাশ ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়। বুকে ছিল অসংখ্য ছররা গুলির চিহ্ন। আমার ছেলে এভাবে চলে যাবে সেটা কখনও কল্পনাও করিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ঘুমিয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে বাইরে গেল সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে। সেদিন আমি ব্যস্ত ছিলাম। ডাইনিং টেবিলে বসে সবাই খাবার খেয়েছে। চেয়ারে বসে ভাবছিলাম টেবিলে এঁটো প্লেট-বাটি এলোমেলো হয়ে আছে। এগুলো গুছিয়ে নেই। এই ভেবে দরজা পর্যন্ত গেলাম না। তানভীন এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে দরজার সামনে এগিয়ে সালাম দিয়ে বের হয়ে গেল। অন্যদিনের মতো বিদায় জানানো হয়নি তানভীনকে। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আফসোস। প্রতিদিন তার সালামের উত্তর দিয়ে তিন কুল (সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস) পড়ে মাথায় ফুঁ দিয়ে সদর দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতাম।
তিনি বলেন, দেড়টার দিকে কুয়েতমত্রী হাস্পাতাল থেকে কল আসে। আমি তাড়াহুড়ো করে রিক্সা নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথে পুলিশ রিক্সাওয়ালাকে মেরে পাঠিয়ে দেয়। আমার গায়েও হাত তোলে পুলিশ। অনেক যুদ্ধ করে হাসপাতাল গিয়ে দেখি আমার ছেলে আর নেই।
হাসপাতাল থেকে পুলিশ লাশ দিতে চাচ্ছিল না। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে মাথার ওড়না দিয়ে ছেলেকে এক পাশে নিয়ে ঢেকে রাখি। এরপর ওর বন্ধুরা মিলে ওকে হাস্পাতালের পেছন দিয়ে বের করে। একটা ভাঙা এম্বুলেন্স ব্যাবস্থা করে ওর বন্ধুরা চালিয়ে ওকে বাসায় নিয়ে যায়।
শহীদ জননী বলেন, একটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে তানভীন। তার প্রতিষ্ঠানে সে নিজের জন্য একটি রুম ঠিক করে। ১৮ তারিখ সেখানে ও প্রথমবার বসার কথা ছিল। কিন্তু বসার আগেই সে দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছে। এখনও তানভীনের রুমে কেউ বসে না। তা স্মৃতিস্বরূপ রেখে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আমার ছেলে চলে গেছে তিন মাস হলো। আমার সাথে এখন আর কেউ মন খুলে কথা বলে না। আমার ছেলের মতো কেউ এসে আর কেউ খোঁজ নেয় না। সারাদিন অপেক্ষায় থাকি বুঝি সন্ধ্যায় আমার ছেলে ফিরে আসবে। মাঝে মাঝে সে আমার স্বপ্নে আসে। সেদিনে স্বপ্নে এসে বলল, মা বিদায় বেলায় তোমার হাতের চা খাওয়া হয়নি।"
শহীদ শেখ ফাহমিন জাফর
১৮ বছর ৮দিন বয়সী তরুণ শহীদ শেখ ফাহমিন জাফরের বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার তারটিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম শেখ আবু জাফর। ফাহমিন মায়ের সঙ্গে দক্ষিণখান থানার গাওয়াইর মাদরাসা রোডে বসবাস করতেন। সে টঙ্গী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষে বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র ছিল। তার বাবা রাজশাহীতে একটি বীমা কোম্পানিতে কর্মরত।
ফাহমিনের মা কাজী লুলুল মাকহমিন বাকরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, ‘সেদিন (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ফাহমিন বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলে যায়, মা আমার জন্য দোয়া করো। আমি মারা গেলে আমার লাশ দাফন করো না, রাজপথে রেখে দিও।
দাবি আদায় হওয়ার পর দেশ শান্ত হলে আমার লাশ নিও। আমার মতো অনেকের মৃত্যু হলে সবার লাশ রাজপথে থাকবে। অনেক মারাই তোমাকে সহযোগিতা করবে, চিন্তা করো না। এটাই ছিল আমার ছেলের শেষ কথা।’
তিনি বলেন, আমার ছেলে অন্যায়ের বিপক্ষে সবসময় প্রতিবাদ করতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদেরকে যখন রক্তাক্ত করা হয় তখন আর ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। সেদিন রাতে সে আমাকে বলেছিল,আম্মু, আমার সহ্য হচ্ছে না। সারারাত সে ঘুমায় না। সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে কলেজের ড্রেস পরে নেয়। তারপর বিদায় নিয়ে চলে যায়।
দুপুর দেড়টায় ক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। হাসপাতালে যাওয়ার সময় উত্তরার জসীমউদ্দিনে আমাকে আটকানো হয়। আমি তখন হায়েনাদের উদ্দেশ্যে বলেছি, আর কত রক্ত চাস তোরা। তারা আমাকে আঘাত করে। আমার হিজাব ধরে পুলিশ মারধর করে।
হাসপাতালে পৌঁছে দেখি আমার ছেলে আর নাই। রাক্ষসীরা হাসপাতালেও হামলা করে,ছেলের লাশ দিতে অস্বীকৃতি জনায়। একজন ডাক্তার পেছন দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। উত্তরা ১১ নাম্বার সেক্টরের এক মসজিদে গোসল করাতে নিলে বলা হয় উপর থেকে নিষেধ আছে। পরে সাভার নিয়ে তাকে গোসল করাই।
তিনি বলেন, ছেলের মৃত্যুতে আমি কখনো কাঁদার সময় পাইনি। ২৮ তারিখ থেকে আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে আন্দোলনের যাই। রাবার বুলেট খেয়েও দমে যায়নি। আমাদের শত মায়ের চোখের পানি ফেরাউনের ডুবে যাওয়া সমুদ্রের চেয়ে কম না। অবশেষে ফেরাউন ডুবেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে শহীদ হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে আমার বাসায় কেউ যায় নি। এটা আমার জন্য খুবই কষ্টের। আমাদের সন্তানদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদাও দেয়া হচ্ছে না। আপনারা আমাদেরকে আগামীকালই ড. ইউনুস এবং নাহিদের কাছে নিয়ে যান। আমি তাদের জিজ্ঞেস করব কেন শহীদদের অবহেলা করছে। আমাদের সন্তানদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দিলে আমি একাই আন্দোলনে নামবো।
শহীদ জননীদের অনুভূতি প্রকাশের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি সরকারের উদ্দেশ্য চারটি দাবি পেশ করেন।
এসময় তিনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দের ত্যাগ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ত্যাগ এবং নারী শিক্ষার্থীদের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, অতি শীগ্রই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১জন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১জন, নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১জন, এবং শহীদ জননীদের মধ্য হতে ২জনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। দাবি না মানলে শহীদ জননীদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ