ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

আগাম ফুলকপি চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন কৃষকের

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০

আগাম ফুলকপি চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন কৃষকের
আগাম ফুলকপি চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন কৃষকের। ছবি: প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে বন্যার ধকল কাটিয়ে ও ভারী বর্ষণ না থাকায় চলতি মৌসুমে ফুলকপি বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতকালীন সবজি ফুলকপির আগাম ফলনে সাড়া ফেলেছেন জেলার সবজি চাষিরা। চাষিরা আগাম ফুলকপি চাষকরে জেলার সবজির চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করছে কৃষকরা।

লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী ৫ উপজেলায় আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন কৃষকরা। খরচের চেয়ে তিনগুণ লাভ পেয়ে খুশি ফুলকপি চাষিরা। ভোর থেকে ফুলকপি বিক্রির ধুম পড়ে যায় গ্রাম গুলোতে। পাইকাররা আসেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। কৃষাণ কৃষাণী দলবেঁধে জমি থেকে ফুলকপি সংগ্রহ করে তা ওজনের পর বিক্রি হয়। ফুলকপি বহন করতে নিয়মিত আসে অটোরিকশা, পিকাপ ও ট্রাক।

কৃষকরা বলছেন, রোগ বালাই কম থাকায় আগাম জাতের ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অধিক মুনাফা অর্জন করছি। আগাম ফুলকপি পাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও বেড়েছে। বর্তমানে বাজারমূল্য বেশী পাওয়ায় চাষিরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা দামে বিক্রি করছেন কৃষকরা।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, বর্ষার পরপরই শীতের আগে আগস্ট মাসে ফুলকপির চারা রোপণ করা হয়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। এবার জেলায় আগাম ২২০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ হয়েছে। স্বল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ার পাশাপাশি অধিক মুনাফা পাওয়ায় অনেক চাষিই এখন ফুলকপি চাষে ঝুঁকছেন।

পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা এলাকার ফাতেমা আক্তার বলেন, চার বিঘা জমি লিজ নিয়ে ফুলকপি চাষাবাদ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ার জন্য স্বামীর সহযোগিতায় ট্রাকে করে ফুলকপি ঢাকার কারওয়ান বাজারে পাঠাচ্ছি। আশাকরি ভালো দাম পাবো।

ফুলকপি চাষী মহির উদ্দিন বলেন, সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। খরচ হয়েছে দেড় লাখ। আশা করি চার লক্ষ টাকার বেশি ফুলকপি বিক্রি করব।

সবজি ব্যবসায়ী লিটন বলেন, আমরা প্রতিদিনই ট্রাকভর্তি করে কৃষকদের ফুলকপি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে থাকি। বর্তমানে ফুলকপির চাহিদা ব্যাপক। দামও ভালো। চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, লালমনিরহাট জেলা তিস্তা বিধত জেলা হলেও এর অধিকাংশ জমি উঁচু ও মাঝারি উচু জমিতে শাকসবজি আবাদের উপযোগী। বর্ষার পরপরই শীতের আগ মুহূর্তেই শাকসবজি তুলনামূলক কম থাকে। এই মুহূর্তে যারা আগাম সাবজি আবাদ করবে তারা নিঃসন্দেহে বাজারে দাম ভালো পাবে। সেই সাথে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করতে এবং তা বাণিজ্যিকীকরণ করতে কৃষি বিভাগ সারা বছর সবজি চাষে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে আসছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত