আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে: আমীর খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৮
আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল (বাতিল) করতে হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আপনি যদি আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল করে দিতে চান অন্যকোনভাবে, এগুলো টিকে থাকে না। ফ্যাসিস্টকে ক্যান্সেল করবেন ভোটের মাধ্যমে চরমভাবে পরাজিত করে। অন্যকোনভাবে ক্যান্সেল করলে কোনো সুফল বয়ে আনে না।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে টেক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজন করে ভয়েস অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির জন্য সংস্কার নতুন কিছু নয়। খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারেক রহমানও যুগপত আন্দোলনে থাকা সব দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। শুধু সবাইকে নিয়ে নয়, বাস্তবায়নের জন্য ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে থাকা সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করতে হবে। সেটা একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। অনির্বাচিত কোন সরকার তাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ও দর্শনের সেভাবে সংস্কার করা সুযোগ নেই। যেসমস্ত সংস্কার ঐক্যমতে আছে সেগুলো বাস্তবায়নের আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জনগণকে বাইরে রেখে যে বয়ান তৈরি করা হচ্ছে তা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাধীনতার পর শেক মুজিবের একটা বয়ান ছিল, স্বেরাচারের একটা ছিল এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটা বয়ান ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বলেছিল উন্নয়নের উপরে গণতন্ত্র। কিন্তু উন্নয়ন সঙ্গে হাতে হাত মিলে চলতে হয়। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে হবে লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচার উন্নয়ন। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে পকেটের উন্নয়ন। একমাত্র বয়ান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। এর বাইরে নতুন বয়ান শুনতে চাই না।
আমীর খসরু আরও বলেন, আমরা ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ১৬ বছরে জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। ত্যাগ-জুলুমের মধ্যে দিয়ে বিএনপি নতুন বিএনপিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ত্যাগ করতে শিখেছে, রক্ত দিতে শিখেছে ও জীবন দিতে শিখেছে। আমরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটারধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াই থেমে থাকবো না।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। আমরা সর্মর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং যাব। সবাই মিলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছি। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/ওএফ