ফরিদপুরে হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ গ্রেপ্তার
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩
হত্যা মামলায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াদুদ মাতব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ভাঙ্গা টোলপ্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত কাশেম উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মধ্যবালিয়া গ্রামের গেদা বেপারীর ছেলে। আহত মিলনও একই গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৪ অক্টোবর বিকেলে কাশেম ব্যাপারী ও মিলন জয়ঝাপের ইমাম বাড়ি মেলা ও নৌকা বাইচ দেখতে যান। তাদের সঙ্গে দুই তরুণীও ছিল। মেলার ভেতরে কেনাকাটার সময় কাসেম ও মিলনের সঙ্গে এক তরুণীকে উত্যক্ত করতে থাকেন স্থানীয় জয়ঝাপ গ্রামের মুসা মোল্যার ছেলে বাহাদুর মোল্যা নামের এক তরুণ।
তারা আরও জানান, এ সময় কাসেম ও মিলন প্রতিবাদ করলে বাহাদুর ক্ষিপ্ত হয়ে তার দুই ভাইকে ডেকে আনেন। পরে বাহাদুর (২৩) ও তার ভাই তৈয়াব (২০) এবং সোহেলসহ (১৮) কয়েকজন তরুণ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কাসেম ও মিলনকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহত দুই জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কাশেমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে। সে মামলার এক নম্বর আসামি মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর। এছাড়া ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সালথার কাসেম বেপারী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর ফরিদপুরের সালথার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ ইমামবাড়ি মেলার মধ্যে সঙ্গে থাকা এক তরুণীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কাশেম ব্যাপারী (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে কয়েকজন বখাটে তরুণ। এসময় চাইনিজ কুঁড়ালের আঘাতে মিলন (৩২) নামে অপর এক যুবক আহত হন।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ