ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী শিশুদের খাওয়ালো ‘ভাবনা’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৩০

দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী শিশুদের খাওয়ালো ‘ভাবনা’
দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী শিশুদের খাওয়ালো ‘ভাবনা’

আনন্দের আহার আয়োজন করেছে মেহেরপুরের সামাজিক সংগঠন ‘ভাবনা’৷ ভিন্ন কিছু করার চিন্তা ও ভাবনা নিয়ে শনিবার (৯ নভেম্বর) সংগঠনটি মেহেরপুরের দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে আয়োজন করে এই ‘আনন্দের আহার’ এর৷

সামর্থ্যহীন যে সকল শিশু রেস্টুরেন্টে খেতে পারে না, টিভিতে দেখে কিংবা সামর্থ্যবান বন্ধুদের কাছে গল্প শুনে পিৎজা, বার্গার, চিকেনসহ মুখরোচক খাবার রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার সামর্থ্য রাখে না সেসকল শিশুদের নিয়ে ‘ভাবনা’ সংগঠন রেস্টুরেন্টে বসে এক বেলা আহারের আয়োজন করে৷

আয়োজনটি ঘিরে সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুরা জানায় তাদের আনন্দের গল্পগুলো৷ রিফাত নামে এক শিশু জানায়, আমি ক্লাস টু’তে পড়ি, আমার বাবা একজন রিক্সাচালক৷ উচ্চবিত্ত বন্ধুদের কাছে তাদের বাবার সাথে রেস্টুরেন্টে বসে চিকেন ও বার্গার ইত্যাদি সব মুখরোচক খাবারের গল্প শুনলেও কখনো খাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। তবে আজ রেস্টুরেন্টে পিৎজা, বার্গার চিকেন ও অনেক মুখরোচক খাবার খেয়ে অনেক আমি আনন্দিত।

আয়োজনটি ঘিরে শিশুরা শহরের জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট সেভেন সেন্স পিৎজা, বার্গার, ফ্রাইড চিকেনের মতো খাবার খেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে।

আয়োজকরা জানান, সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য এমন আয়োজন করতে পেরে তারাও বেশ আনন্দিত৷ রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সুযোগ পেয়ে শিশুরা তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এবং খাবারগুলো উপভোগ করে। শিশুদের হাসিমুখ সংগঠনের সদস্যদের আরও অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতে আরও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে শিশুদের পাশে থাকতে পারবে এমনটাই আশা ব্যাক্ত করেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সাদাত আস সামি বলেন, আনন্দের আহার অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। মেহেরপুরের যেসকল বাচ্চারা রেস্টুরেন্টের আলোক সজ্জায় এসে খাবার খেতে পারেনা তাদের কে রেস্টুরেন্টে বসিয়ে খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে বাচ্চাদের মনের প্রফুল্লতা দেখতে পেরে আমরা আনন্দবোধ করছি।

সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক ফাইরুজ আনিকা জানান, আমরা অনেক আনন্দিত যে আমরা এমন একটি আয়োজন করতে পেরেছি৷ মেহেরপুর ভাবনা'র এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেসব শিশুদের নিয়ে যারা এর আগে ইচ্ছা থাকার পরও রেস্টুরেন্টে আসতে পারেনি বা খেতে পারেনি তারা শুধু এসব খাবারের নাম শুনেছে।

তাদেরকে নিয়ে, তাদেরকে এক বেলা খাওয়ানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল, যা আমরা সম্পূর্ণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।

ভাবনা সংগঠনের এই মানবিক উদ্যোগ সমাজের অনেকের নজর কাড়ে৷ সংগঠনটি সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি শিশুদের নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত