ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:২৮

বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ
বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর টি অ্যান্ড জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তারা একই দাবিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।

এদিকে অবরোধের কারণে সকাল থেকেই মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ। ফলে কর্মস্থল ও গন্তব্যে পৌঁছাতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টি অ্যান্ড জেড গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের গত কয়েক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে শ্রমিকরা বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলেও তা পরিশোধ করছে না। ফলে শনিবার সকালে কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে জড়ো হন। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশের লেনেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বেতন না দিয়েই কারখানা বন্ধ রেখেছে। এজন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি মেনে নিলে মহাসড়ক ছেড়ে দেব।’

এ বিষয়ে টি অ্যান্ড জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহেদুল ইসলাম বলেন, টি অ্যান্ড জেড কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা করছেন। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘কারখানার মালিক আমাদের দিয়ে কয়েকবার বেতন দেয়ার সময় দিয়েছে। কিন্তু মালিক সেই কথা রাখেনি। মালিককে নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে বৈঠক হয়েছে তারপরও বেতন দিচ্ছে না। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শ্রমিক আন্দোলনসহ নানা কারণে আজ জেলার ১০টি কারখানা বন্ধ আছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত