মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে এটা অস্বাভাবিক নয়: অর্থ উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৩৫
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে এটা অস্বাভাবিক না। বৈশ্বিকভাবে প্রবণতা এমনই। বাংলাদেশে বেড়েছে বন্যা, মজুরি বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিকে নিয়ন্ত্রণ না করা ইত্যাদি কারণে। তবে এটা সাময়িক।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ও পণ্যের মূল্যকে এক করে দেখা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি কমলেও পণ্যের মূল্য বেড়েছে।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়, সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অক্টোবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। এছাড়া গড় মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। অক্টোবরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে।
‘চালের দাম অন্যান্য দেশের চেয়ে কম’
দেশে চালের দাম বেশি থাকলেও তা অন্যন্য দেশের তুলনায় কম বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘চালের দাম বেশি থাকলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দাম কম আছে। এবং চালের বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো। চাল আমদানি করা নাও লাগতে পারে। সরকার চায় চালের দাম কমুক কিন্তু কৃষককে দাম দিতে হয়।’
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্য, জ্বালানির দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল বলেও জানান তিনি। অর্থ উপদেষ্টা জানান, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ঋণপত্রের খরচ যাতে না ধরা হয় তা নিশ্চিত করতে আগামী রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন বলেন, ‘রমজানকে সামনে রেখে বাজারে রমজানের মৌলিক পণ্যের সরবরাহ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সরকার সর্বোচ্চভাবে সে চেষ্টা করবে। যেকোনো দেশের ক্ষেত্রে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে হলেও ১২ থেকে ১৮ মাস লাগে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে।’
টিসিবির চালের বরাদ্দ পরিবারপ্রতি বাড়িয়ে ১০ কেজি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে ওএমএস এর চালের বরাদ্দও বাড়ানো হবে। বাজার মনিটরিং করা হবে কিন্তু মনিটরিং বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নেওয়া হবে না। বাড়াবাড়ি করলে বাজারের স্বকীয়তা নষ্ট হবে।’
এদিকে, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে পণ্যের দাম সহনশীল করতে দুই তিন বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জের কোনো সংকট নেই। যে কেউ এলসি খুলতে পারবেন। বাজারে টাকা পাবেন না কিন্তু ডলার পাবেন। এখানে একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি