ঢাকা, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে দগ্ধ হলেন শ্রমিক

  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:০২

লক্ষ্মীপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে দগ্ধ হলেন শ্রমিক
জেলা শহরের ঝুমুর এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন জসিম নামে এক শ্রমিক। ছবি: প্রতিবেদক

লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) অফিসের সামনে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন জসিম (৪৫) নামে এক শ্রমিক। এতে তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের ঝুমুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জসিম লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে এবং পিডিবিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শ্রমিকের কাজ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর পিডিবি অফিসের সামনে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করেছে কর্মীরা। দুপুরের দিকে ওই খুঁটিতে কাজ করা অবস্থায় জসিম নামে একজন কর্মীর দেহে আগুন লেগে যায়। এতে তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিদ্যুৎ অফিসের সামনেই এমন দুর্ঘটনাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করছেন তারা।

জেলা সদর হাসপাতালের ইএমও ডা. মো. আরমান হোসেন বলেন, অগ্নিদগ্ধ জসিমের দুই হাত, বুক পেট পুড়ে গেছে। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. সবুজ বলেন, যে খুঁটিতে কাজ করছিল, সেটাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পাশের খুঁটিতে লাইন চালু ছিল। কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক ক্যাবল পাশের চালু লাইনের সংস্পর্শে এসে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পিডিবি লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদারের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মীরা কাজ করার সময় ঠিকাদারের চাহিদা অনুযায়ী লাইন বন্ধ রাখা হয়। সকালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। তখন ঠিকাদার তাজুল ইসলামের কর্মীরা লাইন মেরামতের কাজ করেন। কিন্তু যখন দুর্ঘটনা ঘটেছে তখন লাইন চালু ছিল। ওই সময় বিদ্যুৎকর্মী কাজ করার কথা ছিল না। ওই কর্মী চালু লাইনে কেন উঠেছে, সেটা বোধগম্য নয়। তার সাথে কথা বলতে পারলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যেত।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত