সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ মামলা
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:১৬
চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া রঙের আরেকটি পাতাকা টাঙানোর অভিযোগে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে ফিরোজ খান নামের এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মোট ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করেছেন বাদী। চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী ছাড়াও ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
চট্টগ্রাম নগরীর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, এ মামলায় রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ নামে দুইজনকে ইতোমধ্যে গ্রপ্তারও করেছে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর নগরীর নিউ মার্কেট চত্বরে একটি লাঠিতে জাতীয় পতাকা বেঁধে দেয়া হয়। গত ২৫ অক্টোবর লালদীঘির মাঠে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের সমাবেশের দিন নিউ মার্কেটের ওই পতাকার উপর গেরুয়া রঙের আরেকটি পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা ধরনের সমালোচনা হয়। পরে সেটি সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
লালদীঘির মাঠে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের ওই সমাবেশে লাখো মানুষের সমাগম হয়। ৮ দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় সমাবেশ এবং ঢাকায় লং মার্চের ঘোষণা দেয়া হয় সেই সমাবেশ থেকে।
ফিরোজ খানের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠের সমাবেশের দিন নিউ মার্কেটে জাতীয় পতাকার ওপর ‘সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের’ গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা স্থাপন করে দেয়া হয়, যা রাষ্ট্রের ‘অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার শামিল’।
‘দেশের সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা প্রদর্শন ও দেশের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার মানসে’ এভাবে পতাকা অবমাননা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলার এজাহারে বলা হয়, “জাতীয় পতাকার ওপরে ধর্মীয় পাতাকা উত্তোলন করে আসামিরা দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার রাষ্ট্রদোহ কাজে লিপ্ত আছে।”
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ