শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে দুর্বৃত্তদের হামলা, আহত ৮
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪০
মা ইলিশ রক্ষা করতে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় সরকার ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়া, গোসাইরহাটে পদ্মা নদীতে থামছেই না ইলিশ শিকার। জেল, জরিমানা উপেক্ষা করেও পদ্মা নদীতে মা ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা।
অভিযানে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ওপর এবার হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে আহত হন ৮ জন। আহতরা হলেন- জাজিরা উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রিয়াদ (২৮), মো. সাগর (৩০), স্পিডবোটচালক সেকেন্দার হোসাইন (২৯), হাবিব (২২), জিল্লুর রহমান (৪৫), মুশফিকুর রহমান (২৭), জামিল হোসেন (২৮) ও সেকান্দার হোসেন (৩৫)।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, মঙ্গলবার রাতে জাজিরার সিডারচরে একটি, বাবুর চরে দুইটি ও চরাত্রায় একটি স্পিডবোটে মৎস্য বিভাগের লোকজন ইলিশ রক্ষা অভিযানে দায়িত্বে ছিল। হঠাৎ ১৮ থেকে ২০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোকজন এসে বাবুরচরের দুইটি স্পিডবোটে হামলা চালায়। তখন দেশীয় অস্ত্র ও লগি-বৈঠা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাদিউজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে মৎস্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছি। পরে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, অভিযান কঠোর হচ্ছে তাই দুর্বৃত্তরা হামলা চালাচ্ছে। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় মাছ ধরতে নদীতে নামলে আটক ব্যক্তির সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি