ঢাকা, রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

দুদিনের জন্য বসছে ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা, ইজারা বাতিল

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২:১৮

দুদিনের জন্য বসছে ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা, ইজারা বাতিল
কুন্ডুবাড়ির মেলা। পুরনো ছবি

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় দুই দিনের জন্য কুন্ডুবাড়ির মেলার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। দীপাবলি ও কালীপূজা উপলক্ষে প্রায় আড়াই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মেলাটি স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মেলার বিপক্ষের লোকজনসহ ইসলামী দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে প্রাথমিকভাবে মেলার অনুমতির দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে রোববার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও মেলার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কালকিনি পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ডিসি স্যারের মিটিংয়ে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই দিনের জন্য মেলা চলার অনুমতি স্যার দেবেন। তবে পৌরসভা থেকে যাকে ইজারা দেয়া হয়েছে, সেটি বাতিলই থাকছে। যারা কালীপূজার আয়োজন করেছে, মেলাটি তারাই পরিচালনা করবে। রোববার জেলা প্রশাসন থেকে মেলাটি পরিচালনাসহ সার্বিক সব বিষয় লিখিত জানানো হবে।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল ইসলাম বলেন, মেলা নিয়ে যাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে আজ জেলা প্রশাসনের সভা হয়েছে। সভায় দুই দিন মেলা চলবে সেটি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাল রোববার মেলার আয়োজকদের সঙ্গে সভা হবে। তারপর লিখিত অনুমতি দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় ১২ জন ব্যক্তি ৯টি কারণ উপস্থাপন করে মেলাটি বন্ধের দাবি জানানোর পর কালকিনি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন সভা করে গত বৃহস্পতিবার মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে গত ১ এপ্রিল পৌরসভার পক্ষ থেকে ৮০ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে আকবর হোসেন সরদার নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মেলা আয়োজনের ইজারা দেয়া হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে আওয়ামী লীগের নেতার ওই ইজারা বাতিলের দাবি জানায় একটি মহল।

পরে সেটি করতে ব্যর্থ হলে তারা ৯টি কারণ দেখিয়ে মেলা পুরোপুরি বন্ধ করতে কালকিনি পৌরসভা ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, প্রতিবছর এই মেলায় মারামারি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া জুয়া, মদ ও গাঁজার আড্ডা, নারী ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সামাজিক অবক্ষয় ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন মেলাটি বন্ধের নির্দেশ দেয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত