ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩৭

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ফাইল ছবি

যত দ্রুত সম্ভব বিডিআর বিদ্রোহের সময় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।

পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এটা বিডিআর বিদ্রোহ নয়; এটি হলো বিডিআর হত্যাকাণ্ড।’ পোস্টে হাসনাত দাবি করেন, ’এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।এই হত্যাকাণ্ডের বিচার সবার আগে প্রয়োজন। যত দ্রুত সম্ভব।’

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিডিআরের সদরদপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এ বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত হন তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদকে।

বিডিআরের দরবার হল থেকে শুরু হয়ে নানা ঘটন-অঘটনের মধ্য দিয়ে এই বিদ্রোহ শেষ হয় পরদিন। পিলখানায় বিদ্রোহের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে জওয়ানরাও বিদ্রোহ করে। সেই বিদ্রোহের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। পরিবর্তন আসে পোশাকেও।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। ঘটনার চার বছর পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিডিআর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। এছাড়া বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ হাজার ৪১ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ে দেয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়। আটজনকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখে হাইকোর্ট। আর ১৪ জনকে খালাস দেয়া হয়।

এছাড়া খালাস পাওয়া ২৭৮ জনের মধ্যে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। যার মধ্যে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। ফলে হাইকোর্টে মোট ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। আর চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৩৪ জনের খালাসের আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় ২২৮ জনের। খালাস পায় ২৮৩ জন। রায়ের আগেই মারা যান ১৫ জন। ফলে ৮৩৫ জনের সাজা হয়।

২০১৭ সালে হাইকোর্টের রায় হওয়ার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপরই রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ উভয়ই লিভ টু আপিল ও আপিল করে।

অন্য মামলাটি ছিল বিস্ফোরক মামলা। যার বিচারকাজ ২০১০ হলেও শুরু হয় খানো মামলাটির বিচার শেষ হয়নি। মাঝে বেশ কয়েক বছর বন্ধ ছিলো এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত