আবারও বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: অলি আহমদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৪ আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫৭
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বলেছেন, আজকে আমরা আবারও বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা সবাইকে ব্যবহার করেছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এলডিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
কর্নেল অলি বলেন, আগামীতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন, সুন্দর প্রশাসন পরিচালনা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণসহ দ্রব্যমূল্যের জন্য মানুষ যে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমাদের প্রস্তাবগুলো দেয়া হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, ঘরটা আগে বানাই। নির্বাচন করে করবেন কী, যদি সব চোর থেকে যায়। সংস্কারের পর নির্বাচন করতে হবে।
অলি আহমেদ বলেন, আমরা সরকারকে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে বলেছি। যা যা করতে হয় কঠোর হাতে দমন করতে হবে। আমরা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যা যা প্রয়োজন, প্রস্তাবে সেগুলো রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ (শনিবার) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সাত দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে বরাবরের মতো এবারও ডাকা হয়নি বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা)। সাত দল ও জোটের মধ্যে রয়েছে- গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল।
সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্র থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ। এ ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সামনে সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবেন তারা। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে দলগুলো।
এর আগে, গত ৫ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আজ সংলাপ করবেন তিনি। সবশেষ তৃতীয় দফার সংলাপ শেষের পর এবারের দফায় জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আমন্ত্রণ পাওয়ার জোর গুঞ্জন উঠলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকদের প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত দলটিকে ডাকা হয়নি।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ