ঢাকা, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চালু করতে খরচ কত জানালেন উপদেষ্টা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১০  
আপডেট :
 ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৪

মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চালু করতে খরচ কত জানালেন উপদেষ্টা
মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চালু করতে খরচ কত জানালেন উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ফের চালু করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আজ মেরামত হওয়া মিরপুর-১০ স্টেশনে তিনি এসব তথ্য জানান।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আরও জানান, মেট্রোরেলের সব স্টেশন মিলিয়ে আরও খরচ লাগবে ১৭ কোটি টাকা। মোট লাগবে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তবে এই টাকা এই মেট্রো থেকেই নেয়া হবে।

এ সময় উপদেষ্টা জানান, যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলোর রিভাইস হবে। সব বিভাগে হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। আগামীর প্রকল্প সময়ের আগেই শেষ করতে হবে। সময় বেশি নেয়া যাবে না। অপচয় রোধ করে করতে হবে।

মেট্রোরেলের ভাড়া কমানোর ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্পের মেয়াদ ও টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পে দুর্নীতি নাকি অপচয়, সেটি চিহ্নিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এরপরই দীর্ঘ সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল। ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৫ আগস্ট ফের চালু হয় মেট্রোরেল। তবে, বন্ধ রাখা হয় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন। এর ২৬ দিন পর কাজীপাড়া স্টেশন আজ চালু করা হয়েছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, তৎকালীন সরকারের সময় মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনের মেরামতের জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছিল। তবে কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন মেরামতে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রির যন্ত্র, কম্পিউটার, ভাড়া পরিশোধ করে প্রবেশ ও বের হওয়ার স্বয়ংক্রিয় গেট, স্টেশনের ইলেকট্রনিক পর্দা ও কিছু কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিছু সরঞ্জাম ও উপকরণ স্থানীয় বাজার থেকে কেনা হয়েছে। তবে টিকিট কাটার যন্ত্র এবং ভাড়া পরিশোধ করে প্রবেশ ও বের হওয়ার গেটগুলো স্থানীয় বাজারে নেই। আমদানি করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, টিকিট কাটার যন্ত্র ও গেট উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও বিজয় সরণি স্টেশন থেকে নিয়ে বসানো হয়েছে। এসব স্টেশনে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম। সেখানকার একাধিক মেশিন ও গেটের মধ্য থেকে কিছু স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোর ভেতর প্রদর্শনকেন্দ্রে আটটি গেট ছিল, সেগুলো এনে লাগানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমদানি করে ওই সব জায়গায় গেট ও টিকিট কাটার যন্ত্রগুলো বসানো হবে। তবে আমদানি করলেও আগের সরকার যে ব্যয় প্রাক্কলন করেছিল, তত টাকা লাগবে না।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত