সৎ-দক্ষদের পদোন্নতি ও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে: আসিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২২:১১
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ১৬ বছরে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সৎ, দক্ষদের পদোন্নতি ও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পুলিশ সংস্কার করা হবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা রোগীদের দেখতে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা ভর্তি থাকা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় আর্থিক সহযোগিতা বাবদ প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন দুই উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিরস্ত্র সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর যেসব পুলিশ সদস্য গুলি চালিয়েছে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
আন্দোলনে হতাহতদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ও ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টারা জানান, এদিন সারা দেশে ১৭৬ জনকে মোট ১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে উপদেষ্টারা এ সহায়তা দেয়া হয়। ১৬০০০ নম্বরে সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কল করে সমস্যা ও সহায়তার কথা জানানো যাবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ব্যবস্থা যাতে না নেয়া হয়, সে বিষয়ে আমার সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কথা হয়েছে। আজকে (রোববার) যেহেতু অফিস বন্ধ, আগামীকাল (সোমবার) অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেয়ে যাবেন আশা করি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশের এক কনস্টেবলকে হত্যার অভিযোগে এক কিশোর ও দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে। গতকাল (শনিবার) সকালে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছিদ্দিকের ছেলে নাইম হোসেন (২১), জয়াগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে ইমাম হোসেন (২২) ও সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকার এক কিশোর (১৬)। গত বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করার পর তারা নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা রুমির কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে পুলিশ হত্যার অভিযোগে তিন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ