জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ১৫ জন পেলেন ১৫ লাখ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪৩ আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩৯
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন ১৫ জনকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ছয় তলায় ৬১৭ নম্বর রুমে ১৫ জন আহতকে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
আন্দোলনে আহত প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলনে হতাহতের দায়িত্ব নিয়েছেন সরকার। ঢাকার বাইরে হতাহতের অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। আহত অনেককেই উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ থেকে ১৭৬ জনকে ১ কোটি ৭১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার অর্থ সহায়তা করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হতাহতদের পরিবারগুলোকে সাহায্যার্থে গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে নিহত মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের জন্য ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এই টাকা দেয়া হয়। ওইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের এককালীন ও মাসিক সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আলাদাভাবে ক্ষতি অনুযায়ী জরুরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আহত ব্যক্তিদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটি সমাজের সব স্তরের মানুষ, প্রবাসী, সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতি ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। কমিটি আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ফাউন্ডেশনের জন্য একটি কার্যালয় করা হবে এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা সেটি পরিচালনা করবেন। গণ-অভ্যুত্থানের ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস ও অন্যান্য নথি ও স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ করবে এই ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি