ফরিদপুরে নিজের বিক্রি করা প্রাইভেটকার নিজেই চুরি করল যুবক!

ফরিদপুর শহরের একটি গ্যারেজ থেকে প্রাইভেটকার চুরির অভিযোগে মো. মেহেদী হাসান (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। সে শরিয়তপুর জেলার ড্যামুডা উপজেলার সিঁধুলকুঁড়া এলাকার মাসুদ গাজীর ছেলে।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

একযোগে পুলিশের ৬ ডিআইজিকে বদলি

তিনি জানান, ‘গ্রেপ্তারকৃত যুবক ২০১৬ সালে ঢাকা ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে এবং ২০১৮ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য সাইপ্রাসে চলে যায়। সেখানে কোর্স সম্পন্ন না করেই ২০২২ সালে দেশে চলে আসে। এরপর সৌরভ নামে তার খালাতো ভাইয়ের সাথে শরিয়তপুরে ইটের ব্যবসা শুরু করে।’

প্রাইভেটকার চুরির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ওই যুবকের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘সে আবার বিদেশ যেতে চায়। কিন্তু তার টাকার দরকার। এ জন্য সে প্রাইভেটকারটি চুরি করেছে।’ এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুর জেলা শহরের গোয়ালচামট ওয়ারলেসপাড়া এলাকার একটি বাসার গ্যারেজ হতে টোয়েটা কোরোলা ১০০ মডেলের প্রাইভেটকারটি চুরি হয় বলে মো. সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামে আরেক যুবক কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। এরপর গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাজিরার নাওডুবা এলাকায় একটি বাস থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকার রুপনগরের ইষ্টার্ন হাউজিংয়ের গ্রিন প্যালেস থেকে চুরি হওয়া প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, এক সময়ে চুরি হওয়া প্রাইভেটকারটির মূল মালিক ছিল গ্রেপ্তারকৃত যুবক ও সৌরভ নামে তার খালাতো ভাই। তারা দুজনেই প্রথমে শেয়ারে গাড়িটি ক্রয় করে। এরপর সৌরভ রাব্বি নামে অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। ওই ব্যক্তি আবার ফরিদপুরের সাইফুল ইসলাম হৃদয়ের কাছে বিক্রি করে। এই সূত্রে গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানের সাথে সাইফুল ইসলাম হৃদয়ের পরিচয়ও হয়। এরপর সে কয়েকবার ফরিদপুরেও এসে দেখে গেছে যে গাড়িটি কোথায় রাখা হয়। এক পর্যায়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যায়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ