ঢাকা, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

গুম কমিশনে অভিযোগ দেয়ার সময় বাড়ল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪৩  
আপডেট :
 ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:০৪

গুম কমিশনে অভিযোগ দেয়ার সময় বাড়ল
প্রতীকী ছবি

গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ দেয়ার সময় আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাতদিন বাড়িয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিতে অভিযোগ দেয়া যাবে। এর আগে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযোগ জানানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল কমিশন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জোরপূর্বক গুমের ঘটনার ভুক্তভোগী নিজে বা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়-স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যেকোনো ব্যক্তি সশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ডাকযোগে বা ই- মেইলেও অভিযোগ জানানো যাবে।

অভিযোগ জানানোর ঠিকানা- গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি, ৯৬, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা-১২১২। ই-মেইল: [email protected]

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সরকারের সমালোচক ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনের কাজে সরকারের পক্ষে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার করে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম-খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। যার পরিমাণ এতই যে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা কোনো সংস্থার কাছে নেই।

দেশে গত সাড়ে ১৫ বছরে গুমের ঘটনার তদন্ত ও বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গত ২৭ আগস্ট ‘গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’ গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

এর আগে গুম সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে ৩ অক্টোবর গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটি। এসময় সংস্থাটি জানায়, এ পর্যন্ত যত ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন তার বেশিরভাগ অভিযোগ এসেছে র‌্যাবের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই; এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ অক্টোবর ডিজিএফআই এর আয়নাঘর ও সিটিটিসি’র ইন্টারোগেশন সেল পরিদর্শন করে সংস্থাটি। তবে কোনো ভুক্তভোগী পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিএফআই এর আয়নাঘরের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে বলে জানায় সংস্থাটি। তবে ডিজিএফআই বিভিন্ন স্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলো মুছে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছে গুম সংক্রান্ত কমিশন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের তলব করা হবে যদি তারা সাড়া না দেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানায় সংস্থাটি।

কমিশন ‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুসারে তদন্তকার্য সম্পন্ন করে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত